বৃহস্পতিবার বিকালের কথা হয়তো ভুলতে পারবেন না প্রায় ৭০০ জন। গোধূলি বেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Bikaner Express)। উস্কে দিয়েছে গাইসালের কথা। ‘বার্থ থেকে ছিটকে পড়ে জ্ঞান হারিয়েছিলাম’, বলছেন এক যাত্রী।
বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিকানের রেল দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আহত সংখ্যা প্রায় ৫০। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মনে জন্ম নেওয়া ঘা কি আর টাকার খসখসানিতে শুকোয়। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন অভিশপ্ত এক্সপ্রেসের এক যাত্রী সঞ্জয়।
তাঁর কথায়, ‘তখন বিকেল ৫ টা হবে। স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। হঠাৎ প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল ট্রেন। বার্থ থেকে আমি ছিটকে গিয়ে পড়লাম মেঝেতে। এরপর আর কিছু জানি না। অন্ধকার নেমে এসেছিল চোখের সামনে।’
‘যখন জ্ঞান ফিরল তখন আমি অ্যাম্বুলেন্সে। আমাকে কখন উদ্ধার করা হয়েছিল, কখন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়েছিল, কিছুই জানি না।’
অনেকেই যাত্রা করছিলেন আপনজনদের সঙ্গে। দুর্ঘটনার পর কে কোথায় ছিটকে গিয়েছেন তা জানা ছিল না সৌভাগ্যবানদের৷ অপর এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘আমি মায়ের সঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ কী যে হল! একটা শব্দের পর কেঁপে উঠল ট্রেনে। ওপর রাখা ব্যাগপত্র ছিটকে পড়তে লাগল মাটিতে।’
‘স্থানীয়রা আমাকে পরে উদ্ধার করেছেন। আমি জানি না আমার মা কোথায়, উনি কেমন আছে। আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।’
গতকাল জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমতা গোদরা বসু জানিয়েছিলে, ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন জনেএ মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ৪৫ জন আহতে সন্ধান মিলেছে।