কখনও গোপাল দলপতি, আবার কখনও কুন্তল ঘোষের মুখে তাঁর নাম শোনা গেছে৷ একজন জেলে। অন্যজন কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে রয়েছে। কিন্তু দুই জনেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত৷ তাঁদের মুখে কথা ভেসে ওঠার পরেই গতকাল শিয়ালদহে বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি৷ ইডির হানার পরেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হুমকি দিলেন বিভাস। বললেন, খুন করতে পাঁচ লাখ লোক লাগে না, একজনই যথেষ্ট।
আগে বামপন্থী নেতা ছিলেন বিভাস। পরে তৃণমূলের আমলে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন৷ আবার তৃণমূলের সঙ্গেও তাঁর যোগ মিলেছে। নিজেকে অনুকুল চন্দ্রের শিষ্য বলে দাবি করেন বিভাস। নলহাটিতে গড়েছেন বিরাট আশ্রম। বুধবার তাঁর মুখে হুমকির কথাও শোনা গেল৷ তিনি জানান, আমিও কেউটের বাচ্চা। প্রয়োজনে পাঁচ লাখ লোক যখন তখন জড়ো করে দিতে পারি। ব্রিগেডে আন্দোলন করতে পারি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস মণ্ডলের মতোই একজন বিভাস অধিকারী বলে দাবি করেছেন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা কুন্তল৷ তবে কী কোটি কোটি টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে? এ প্রসঙ্গে বিভাস বলেন, আমি সবরকম ভাবে ইডি সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজি আছি। যা যা অ্যাকাউন্ট নম্বর চেয়েছিল, সব দিয়েছি। যে কোনও অবৈধ কিছু থাকলেই আমি জেলে যেতে প্রস্তুত। ইডি সব দেখে ভীষণ খুশি। আমি সার্টিফিকেটও দিয়ে দিয়েছে। ওটা স্পিরিট্যুয়াল এনভারমেন্ট।
একইসঙ্গে তাঁর মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের সুনাম করে শোনা যায়৷ তিনি বলেন, আমার মনে হয় ইডি-সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। তারা আইন মেনে কাজ করেন। তাহলে বিভাসের মুখে হুমকির শব্দ কীসের জন্য? প্রশ্ন উঠছে ক্রমাগত।