বাঙালির ওপর অত্যাচার রুখতে মেগা প্রতিবাদ বাংলাপক্ষ’র

এবার হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হকারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হল বাংলাপক্ষ। বাংলাপক্ষর অভিযোগ, হাওড়া স্টেশনের বাইরে থাকা বহিরাগত দোকানদাররা প্রতিনিয়ত বাঙালিকে ঠকায়, হেনস্থা করে, মারধোর…

এবার হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হকারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হল বাংলাপক্ষ। বাংলাপক্ষর অভিযোগ, হাওড়া স্টেশনের বাইরে থাকা বহিরাগত দোকানদাররা প্রতিনিয়ত বাঙালিকে ঠকায়, হেনস্থা করে, মারধোর করে চলেছে। শনিবার এহেন ঘটনারই প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ হাওড়া স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচী করল বাংলাপক্ষ।

এদিন বাংলাপক্ষ’র তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই একই জিনিস চললে পরিণতি ভালো হবে না।সেইসঙ্গে পুলিস-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়, যাতে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। এদিনের কর্মসূচীতে হাজির ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, মনন মন্ডল, সোয়েব আমিন ও ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস এবং নানা জেলার সম্পাদকরা।

প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক বাঙালি

এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পা মিলিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ বাঙালি। গর্গ চ্যাটার্জী বলেন, “আমরা আজ বলতে এলাম। বাংলায় ৮৬% বাঙালি। তাই দোকান, ব্যবসা, ফুটপাত এবং চাকরি সর্বত্রই ৮৬% বাঙালি চাই। আর বাঙালিকে হেনস্থা চললে আগামীতে বাঙালি ব্যবস্থা করবে।”

হাওড়া স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাংলাপক্ষ

অন্যদিকে কৌশিক মাইতি জানান, “আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে ১০ দিন আগে। বেশি দাম চাওয়ায় প্রতিবাদ করায় ফোন কেড়ে নেয়, মারধোর করতে উদ্যত হয় বহিরাগত দোকানদাররা। প্রতিটা বাঙালির সঙ্গে রোজ এই ঘটনা ঘটে৷ আমি বাংলা পক্ষর সদস্য। তাই বাঙালির প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, আজ প্রতিবাদ কর্মসূচী করে আগামীর ইঙ্গিত বুঝিয়ে দেওয়া হল।”

অরিন্দম বিশ্বাস হুঁশিয়ারি দেন, এহেন ঘটনা বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরো বড় আন্দোলনে নামবে বাংলাপক্ষ।