জয়নগরের (Joyanagar) দলুয়াখাকি গ্রামে ১৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার। অগ্নিকাণ্ডের সাতদিনের মাথায় গ্রেফতার। দলুয়াখাকিতে সভা, তৃণমূল বিধায়কের মুখে এবার ‘বদলা’র সাফাই। তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সরদার বলছেন, ঘটনাটি সত্যি নয়। কারণ যেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারই বাড়ি রান্নাঘর অবস্থা খারাপ। আনিসুর, কামাল উদ্দিন, মুজিবর এদের তো প্রকাশ্যে মানুষ দেখেছে শরিফ উদ্দিনকে খুন করতে তারা তাদের বাড়ির ঘর কাঠের চালা পুড়বে না তো কি অন্য লোকের পুড়বে।
জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের এক সপ্তাহ পরেও রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। এখনও জয়নগর থানার দলুয়াখাকি গ্রামে কোনও বহিরাগতের প্রবেশাধিকার নেই। অশান্তির আগুনে জ্বলা সেই গ্রামের এক কিলোমিটার দূরে সভা করল তৃণমূল। সোমবারের ওই সভায় ছিলেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার। ওই সভা থেকে তাঁর অভিযোগ, এলাকার যাবতীয় অশান্তির দায় আসলে সিপিএমের। তৃণমূল বিধায়কের এই অভিযোগ উড়িয়ে শাসক শিবিরকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
জয়নগরের বামনগাছির তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনের খুনের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সোমবার প্রকাশ্য সভায় মন্তব্য করেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস। তার কথায়, “পুলিশ ইতিমধ্যে আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করেছে। সিপিএমের আনিসুরই যে সইফুদ্দিনের খুনের পরিকল্পনা করেছিল, সেটা আমি বলছি না। আনিসুরের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষই অভিযোগ করছেন। আর এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকলে পুলিশ নিশ্চয়ই তাদের দ্রুত গ্রেফতার করবে।”
তার পরেই বামেদের আক্রমণ করেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, “৩৪ বছরে সিপিএম এখানে ৬০টা খুন করেছে। আমাদের আমলে সেই খুনের রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সিপিএম আবার সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা খুনের অব্যবহিত পরেই দলুয়াখাকির ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করা হয়। সিপিএম দাবি করে বেছে বেছে শুধুমাত্র তাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।