সরকারি লোগো ছাপানো বস্তায় পাচার নিষিদ্ধ শব্দবাজি

দত্তপুকুরে ভয়ংকর বিস্ফোরণের পর থেকে সামনে আসছে একের পর এক অসাধু কাজ। এবার আলু, পেঁয়াজের পর বাজারের চাল, ডালের আড়ালে বাজির কারবার। সরকারি ছাপ দেওয়া…

দত্তপুকুরে ভয়ংকর বিস্ফোরণের পর থেকে সামনে আসছে একের পর এক অসাধু কাজ। এবার আলু, পেঁয়াজের পর বাজারের চাল, ডালের আড়ালে বাজির কারবার। সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় ভরে চলত দেদার বাজি পাচার।মূলত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলত সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বাজি পাচার। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুট দূরে মিলল দুটি গুদামের খোঁজ। দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইতিমধ্যেই দ্রুত হারে বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। বহু জায়গায় চালানো হচ্ছে অভিযান। বিভিন্ন জায়গা থেকে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ।

দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে পর পর দুটি দোকান ঘর। এলাকার মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসার পর ভেঙে ফেলা হয়েছে দোকানের শাটার। সেই বন্ধ শাটারের ওপারে থরে থরে সাজানো রয়েছে চটের বস্তা। এই বস্তার ওপরেই রয়েছে সরকারি ছাপ।

   

তবে এই বস্তার ভেতরে সাজানোর হয়েছে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। এই গুদাম ঘরে সাজানো রয়েছে প্রায় ১০০ টির উপরে চটের বস্তা। তার মধ্যে বোঝাই বহু নিষিদ্ধ শব্দবাজি। তবে এই বিপুল পরিমাণ শব্দ বাজি কেন এখানে মজুত করে রাখা হয়েছিল? উঠছে এমনই প্রশ্ন।

যে এই বস্তা গুলি এখানে মজুত করে রেখেছিল তার মধ্যে লেখা রয়েছে ভিন রাজ্যের ঠিকানা। এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই এই অসৎ উপায় অবলম্বন করেছে নিষিদ্ধ বাজি ব্যবসায়ীরা। আর এই বস্তা যদি পুলিশ রাস্তায় ধরে তখন খাদ্যশস্যের বস্তা বলে পার পেয়ে যাবে দোষীরা। এতে কোনও সমস্যা নেই কারণ এই বস্তায় কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, গভমেন্ট অফ পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন সরকারি ছাপ দেওয়া রয়েছে। অন্য একটি গুদাম ঘরে একাধিক চিনির বস্তায় কর্নাটকের ছাপ দেওয়া।

খবর পেয়েই পুলিশ এই গুদামে হানা দেয় এবং তারা প্রত্যেকটি বস্তায় জল ঢেলে দিয়ে যায়। তবে এই শব্দবাজিগুলিকে এখান থেকে বাজেয়াপ্ত করার কোনও প্রক্রিয়াকরণ এখনো পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ শুরু হয়নি। এই গুদামে কমপক্ষে কয়েক হাজারেরও বেশি শব্দবাজি রয়েছে।