রাত বাড়তেই শুশুনিয়ার জ্বলম্ত ছবি আসতে শুরু করেছে। দাবানল ছড়াচ্ছে বাঁকুড়ার (Bankura) এই অরণ্য এলাকায়। অভিযোগ, প্রকৃতি ধংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। এর আগেও শুশুনিয়ায় আগুন ধরানো হয়। আরও অভিযোগ, এর পিছনে এক শ্রেণীর চোরাকারবারি জড়িত। সবই প্রশাসনের সামনেই হয়।
বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র তথা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ও প্রাকৃতিক সম্পদের এলাকা শুশুনিয়া পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়ায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পাহাড়ের বড় একটা অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতি বছর নিয়ম করে এই পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন ও বন্যপ্রাণ। বনদফতরের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হোলি উপলক্ষে শুশুনিয়া পাহাড়ে বনভোজন করতে এসেছিলেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে এখান থেকেই জঙ্গনে আগুন ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, পাহাড়ের মাঝের জঙ্গলে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। রাতের অন্ধকার থাকায় কেউ পহাড়ের উপরে পৌঁছতে পারেনি।
গত কয়েক বছর ধরেই বসন্তকালে শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। ২০২০ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল এখানে। পুড়ে ছাই যায় একের পর এক গাছ ও বন্যপ্রাণীরা।এবারের আগুনেও তেমনই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।