Bangla Pokkho: ‘বাঙালির চাকরি দখল এ রাজ্যেই’, আসানসোলে বাংলা পক্ষর মিছিল

ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের এলাকাগুলিতে বাঙালিদের চাকরি দখল হয়ে গেছে এমনই অভিযোগ উঠছে। আরও অভিযোগ, এই সব এলাকায় বাঙালিদের বদলে হিন্দিভাষীদের চাকরি হয়। এমনই অভিযোগে বাংলা…

ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের এলাকাগুলিতে বাঙালিদের চাকরি দখল হয়ে গেছে এমনই অভিযোগ উঠছে। আরও অভিযোগ, এই সব এলাকায় বাঙালিদের বদলে হিন্দিভাষীদের চাকরি হয়। এমনই অভিযোগে বাংলা পক্ষ(Bangla Pokkho) নামল পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বড়সড় আন্দোলনে। 

বাংলা পক্ষর অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের খনি ও শিল্পাঞ্চলের জামুড়িয়া- চিত্তরঞ্জন- পাণ্ডবেশ্বর- অণ্ডাল- দুর্গাপুর- রানীগঞ্জ- আসানসোল- পানাগড়ে বাঙালির সব চাকরি ও কাজ দখল হয়ে গেছে। বিহার-ইউপি- ঝাড়খন্ড থেকে এসে কয়লাখনি-ফ্যাক্টরির কাজ ও চাকরি দখল করছে, বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় বাঙালি তথা বাংলার ভূমিপুত্ররা। 

   

সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, নানা ফ্যাক্টরি বাঙালির আধারকার্ড ও সিভি দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দখল হয়ে যাওয়া পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে বাঙালির চাকরি ও কাজের স্বার্থে আসানসোলে মহামিছিল হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় হাজার খানেক বাঙালি এই মহামিছিলে যোগ দেয়।

সংগঠনটির দাবি, মিছিলে ঘিরে আসানসোলের বাঙালির উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বহিরাগতদের মুখ ছিল থমথমে।

মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য করবী রায়, সম্রাট কর এবং পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisements

গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পৃথিবীর কোথাও এমন জায়গা আছে, যেখানে এত শিল্প ও খনি থাকার পরও ভূমিপুত্ররা বেকার থাকে? এমন জায়গা কোথাও নেই, কিন্তু বাংলায় আছে। বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। বিহার-ইউপি-ঝাড়খণ্ড থেকে এসে সব চাকরি- কাজ – ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে। তাই, পুরো পশ্চিম বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি ও কাজ চাই।

মিছিলে অংশ নেন সংগঠনের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক জুয়েল মল্লিক, বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য নাথ, পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য তন্ময় গড়াই, শান্তনু ভাদুড়ি, সঞ্জয় কাঞ্জিলাল, বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী, রানা দেব, আকাশ পৈতণ্ডী প্রমুখ।

বাংলা পক্ষ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবার আমরা ফ্যাক্টরির গেটে গেটে ভূমিপুত্রদের সাথে নিয়ে আন্দোলন করবো। আমরা আর সহ্য করবো না। জনবিন্যাস বদলে আসানসোল- দুর্গাপুরকে বিহার বানানো হচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে কেন যাবে? কেন নিজের এলাকায় কাজ পাবে না? আগামী দুমাসের মধ্যে দুর্গাপুরে মহামিছিল করবে জেলা সংগঠন।”