রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিকরা (Attack on ED)। ভাঙা হল গাড়ি। চলল ইট-পাথর বৃষ্টি। ঝরলো রক্ত। ভর্তি হতে হল হাসপাতালে। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার সেই ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল নিখোঁজ শেখ শাহজাহানের পরিবার। দাবি সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই নাকি অভিযানে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের পরিবারের দাবি, ইডি আধিকারিকদের কাছে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না। তাসত্ত্বেও তাঁরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুটি এফআইআরও করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
বস্তুত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয় ইডি আধিকারিকদের। যে সময় তাঁরা শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল ভিতর থেকে। শাহজাহানের দেখা মেলেনি। যদিও ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন শেখ শাহজাহানের ফোনের লোকেশন অনুযায়ী ওই সময় শাহজাহান বাড়ির ভিতরে ছিলেন। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন বাইরে। দরজা খোলার জন্য বলছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ৮০০-১০০০ গ্রামবাসী ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘিরে ফেলেন। চলে ইট-পাথর বৃষ্টি। বাঁশ লাঠি নিয়ে ধাওয়াও করে। তদন্তে নেমে যে সরকারি আধিকারিকরা মার খেলেন, রক্তাক্ত হলেন তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা হওয়ায় কার্যত প্রশ্নের মুখে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা।