AIFF: ভিএআর প্রযুক্তির জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা শুরু ফেডারেশনের

গত বছর থেকেই রেফারিং নিয়ে কার্যত সরগরম থেকেছে ভারতীয় ক্লাব ফুটবল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হোক কিংবা দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ। রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা…

AIFF Spearheads Introduction of VAR Technology

গত বছর থেকেই রেফারিং নিয়ে কার্যত সরগরম থেকেছে ভারতীয় ক্লাব ফুটবল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হোক কিংবা দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ। রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে একাধিকবার। যার দরুন ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সকলকে। এমনকি, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) তরফ থেকে শাস্তি ও পেতে হয়েছে বেশ কিছু দলকে।

তবে সেই সময় একাধিকবার নয়া প্রযুক্তির আনার কথা শোনা গেলেও খুব একটা কর্ণপাত করেনি ফেডারেশন। মরশুম শেষ হয়। পরিস্থিতি যেন একই থেকে যায়। গতবারের মতো এবারের আইএসএল মরশুমেও ম্যাচ রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে জোর বিতর্ক। বিশেষ করে কলকাতা ময়দানে দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দলকে ভুগতে হয়েছে একাধিকবার।

গত আইএসএল ফুটবল মরশুমে বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট সরগরম হয়ে উঠেছিল ক্লাব ফুটবল। এক্ষেত্রে বেঙ্গালুরু এফসির পক্ষে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বসেছিলেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। যার দরুন এক শূন্য গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ দল কেরালা। পরবর্তীতে কেরালা দলের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচের নির্দেশে মাঠ থেকে উঠে আসে দক্ষিণের এই ফুটবল দল।

পরবর্তীতে ম্যাচ কমিশনারেট ও এফএসডিল কর্তার অনুরোধ সত্বেও আর মাঠে ফিরে যায়নি কেরালা। যার ফলে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর বেঙ্গালুরু এফসিকে জয়ী ঘোষণা করে রেফারি। এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি কেরালার পক্ষে। যার দরুন পরবর্তীতে তারা এআইএফএ দ্বারস্থ হয়। কিন্তু লাভের লাভ তেমন কিছুই হয়নি বরং শাস্তি পেতে হয়েছিল কেরালাকে।

কিন্তু নতুন মরশুম শুরু হলেও রেফারিংয়ের কোনো বদল ঘটেনি‌। সময় যত এগিয়েছে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে হয়েছে আইএসএল এর একাধিক দলকে। বিশেষ করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবকে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসসির মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল‌। কিন্তু দাপুটে পারফরমেন্স থাকলেও রেফারির বদান্যতায় ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয় সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। পরবর্তীতে মুম্বাই সিটি এফসিও মোহনবাগান ম্যাচেও সেই একই ছবি। এমনকি ইস্টবেঙ্গল ওডিশা ম্যাচেও ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে ময়দানের এই অন্যতম প্রধানকে।

তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করেই এবার নড়েচড়ে বসে ছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন‌। শোনা গিয়েছিল, দেশীয় রেফারিদের মান উন্নয়ন করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে তাদের তরফ থেকে। সেই সাথে যত দ্রুত সম্ভব ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা যায় সেদিকেও নজর রাখা হবে। সেইমত এই নতুন বছরেই যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে এআইএফএফ। বর্তমানে ভারতীয় রেফারিদের জন্য বিশেষ ট্রায়ালের পাশাপাশি নয়া প্রযুক্তিকে কার্যকরী করে তোলায় এখন একমাত্র লক্ষ্য তাদের।