টিএমসি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক কুড়মি নেতা। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, চুরি-সহ একাধিক জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জন।
ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থানায় পৌঁছেছে সিআইডি টিম। সিআইডি-কে এফআইআরের নথি হস্তান্তর করেছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ।
অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিয়ে, হামলার ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছেন তৃণমূলনেত্রী। এরপরেও কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো-সহ আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়ে কুড়মি বিক্ষোভ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে কার্যত ইটবৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আদবাসী কুড়মিরা বলেছেন, আমাদের কেউ যুক্ত নয়।’
রবিবার, রাজেশ মাহাতো-সহ ৪ জনকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে ধৃতদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় এফআইআরে নাম না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কুড়মি নেতা-সহ বাকিদের গ্রেফতার করল। উল্লেখ্য, ধৃত কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো-সহ ৪ জনকে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত।
আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি, শালবনি ও পুরুলিয়ায় মিছিল করে আদিবাসী কুড়মি সমাজ।