Covid 19 Nadia: ফের ছড়াচ্ছে করোনা, নদিয়ায় মৃত শিশু

ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মাঝেই ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। মঙ্গলবার বর্ধমানের পর বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফের মৃত্য করোনা আক্রান্তের। মৃত্যু হল ৭ মাসের শিশুর মৃত্যু।

Coronavirus india

ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মাঝেই ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। মঙ্গলবার বর্ধমানের পর বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফের মৃত্য করোনা আক্রান্তের। মৃত্যু হল ৭ মাসের শিশুর মৃত্যু। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনার উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে ৩১ জুলাই মৃত্যু হয় শিশুটির।

এর আগে বর্ধমান মেডিক্যালে ৩ জন করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়। যাদের মৃত্যু হয়েছে, প্রত্যেকেরই কোমর্বিডিটি ছিল বলে দাবি করে স্বাস্থ্য ভবন। হঠাৎ বর্ধমান শহরে করোনা ভয়। হাসপাতালে পরপর দুই করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর থেকে এই ভয় ছড়িয়েছে। তবে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানাচ্ছে ভয়ের (Covid-19 In Burdwan) কোনও কারণ। পূর্ব বর্ধমান জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্তত ১৪ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। আচমকা এতজন করোনা আক্রান্ত ও গত দু দিনে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা ও সোমবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজন কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, যে দুজন করোনায় মারা গেছেন তাঁদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা খুবই জটিল ছিল। সেই কারণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তাই এটা নিয়ে আতঙ্কের কোনও জায়গা নেই।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা চিকিৎসার জন্য শতাধিক কোভিড বেড আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখা হয়েছে। হাসপাতালের দুটি নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট সচল। ফলে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে সমস্যা হবে না। কোভিড নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,করোনা সংক্রমণ নিয়ে ১৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে।বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, এখনও পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেনি। তবে হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্বর নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। তার মধ্যে জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন।