এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না (load shedding)এলাকায়। এই অভিযোগে মালদার চাঁচলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অফিসে চলল বিক্ষোভ। বিদ্যুৎ অফিসের বাইরে এবং ভিতরে এক ঘন্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। টানা ৩-৪ ঘন্টা কারেন্ট না থাকায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালে স্থানীয় বাসিন্দারা। অফিসের ভেতর থেকে শুরু করে বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। চাঁচল থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উত্তপ্ত রয়েছে এলাকার মানুষ। যদিও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সঠিক করার চেষ্টা করা হবে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দক্ষিনবঙ্গের অবস্থা আরও ভয়াবহ। একে তো গরমে নাজেহাল অবস্থা। তার উপরে বিদ্যুৎ না থাকায় অবস্থা আরো শোচনীয়। গরমের রীতিমতো হাঁসফাঁস সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা মেলেনি বেশ কয়েকদিন। বাতাসের আদ্রতাজনিত কারণে বেড়েছে গরম। প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল আসে মোটা টাকার। বহু ক্ষেত্রে ভুয়ো বিল আসছে। আরও অভিযোগ, বিল মেটানোর পর কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে?
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সরকারের বক্তব্য, উৎপাদনে ঘাটতি আছে।তাই সমস্যা। জলদি এই সমস্যার সমাধান হবে। দুর্গা পূজার জন্য বিদ্যুতের লাইন মেরামতির বিষয়টি তুলেছে সরকার।