প্রবল ভোট লুঠের আশঙ্কা তৈরি হলো আসানসোলে (Asansol AMC Election)। পুরনিগমে ব্যাপক হাঙ্গামার আশঙ্কা শনিবার। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে অশান্তি করতে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একই অভিযোগ বামপক্ষেরও। তাদের ভোট ব্যাঙ্ক রানিগঞ্জে। সেখানকার ভোটে অশান্তির সম্ভাবনা।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোলে ঘাঘড়বুড়ি মন্দির সংলগ্ন একটি কমিউনিটি হলে কয়েকজনকে আটকে রেখে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অজয় পোদ্দার, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কৃষ্ণেন্দু মুখার্জীরা।খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তারা বেরিয়ে এসে গাড়িতে চড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রথমে বহিরাগতরা বিয়েবাড়ি এসেছে বলে দাবি করে। পরে চাপে পড়ে তারা জানায়, মন্দিরে এসেছে। বিদায়ী মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাদের বলেন, ‘‘বিকাল ৫ টার পরে বহিরাগতরা থাকতে পারবে না নির্বাচন কমিশনের নিয়মে। তাহলে আপনারা তার আগে এলাকা ছাড়েননি কেন?’’
পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের প্রশ্ন, পুলিশ কেন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না? জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘বহিরাগতদের থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা করা হোক। এরপর ওদের যেখান থেকে এসেছে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।’’ সব মিলিয়ে চরম উত্তেজনা এলাকায়।
আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে ধরা পড়ে ধানবাদের এক বাসিন্দা। নাকা চেকিং চলছে সীমান্তে। গাড়ির আরোহীকে পুলিশ জেরা করে। তিনি জানান, তাার নাম অনন্তকুমার দুবে। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ঝাড়খণ্ডের তোপচাঁচি রাজগঞ্জ থেকে রানিগঞ্জে যাচ্ছিলেন গাড়ি কিনতে। কিন্তু ভোটের আগের দিন একসঙ্গে এত টাকা নিয়ে যাতায়াত, মোটেও সাধারণ ঘটনা হিসাবে দেখছে না পুলিশ। তাকে আটক করে কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।