মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে পা রাখার আগে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শঙ্কুদেব পণ্ডার গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। দলীয় কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপির দলীয় অফিসে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চলে। মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ চণ্ডীপুর বিধানসভা অন্তগর্ত বিজেপির দলীয় অফিসে সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে যায়। এক যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
বিজেপি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির অভিযোগ, বুধবার বিকেলে চণ্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত এলাকায় কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী সমর্থনে একাধিক কর্মসূচি ছিল। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন দলের মুখপাত্র শঙ্কুদেব পণ্ডা। কলকাতা ফিরে যাওয়ার আগে দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে চণ্ডীপুরে কালিকাকালি বিজেপির দলীয় বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বেঠক করছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। তখন নিরাপত্তা রক্ষীরা রাতের খাবারের জন্য উঠে যান। জাতীয় সড়কের পাশেই রাখা ছিল কলকাতা অভিমুখ করে বিজেপি নেতার শঙ্কুদেব পণ্ডার গাড়ি।
রাত্রি ১১টা নাগাদ একটি বাইক আরোহী গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দুমুড়ে যায় গাড়িটি। বিকট আওয়াজ শুনে শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ বিজেপি নেতারা বাইরে চলে আসেন। একজন যুবককে পাকাড়াও করেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের অভিযোগ খুনের পরিকল্পনা করেই চারটে বাইক করে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। গাড়িতে শঙ্কুদেব পণ্ডা রয়েছে ভেবেই খুনের পরিকল্পনা করেই এই ধাক্কা মারা হয়।
বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন, যদি দুর্ঘটনাই ঘটতো তাহলে বাইক আরোহী তো আহত হতেন, কিন্তু একানে কেউ আহত হননি।
রাতেই চণ্ডীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ শেখ সিরাজুল নামে এক যুবককে আটক করেছে।
বিজেপি মুখপাত্র শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘চণ্ডীপুরে বিজেপির দলীয় পার্টি অফিসের সামনে গাড়ি দেখে নিরাপত্তা রক্ষীরা খেতে চলে যান। গাড়িতে টার্গেট করেই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় মাফিয়া মুকুল আলির নেতৃত্বে এমন হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন বলে কিছু নেই।’
চণ্ডীপুর থানায় ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।’ মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।
যদি এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, নিছক দুর্ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।