21 July Rally: জেলায় জেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, মমতার অস্বস্তি

আসন্ন ২১ জুলাই সমাবেশ (21 July Rally) আগে তৃণমূল কংগ্রেসে আরও বাড়ল অস্বস্তি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। নন্দীগ্রামে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে…

Mamata

আসন্ন ২১ জুলাই সমাবেশ (21 July Rally) আগে তৃণমূল কংগ্রেসে আরও বাড়ল অস্বস্তি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। নন্দীগ্রামে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষের তৃণমূল নেতারা। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় পার্টি অফিসে। মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।

সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন। আহতদের রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলছে পুলিশের টহলদারি।

উল্লেখ্য, রবিবার ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সমর্থনে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ২ অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস একটি পথসভা আয়োজন করা হয়েছিল। নন্দীগ্রাম টাকাপুরা বাজার থেকে মিছিল করে তারপরে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের নেতারা। আবার এক পক্ষের নেতাদের ডাকা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ, দলের কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত করানো হয়নি বুধ সভাপতিকে। কেন ডাকা হয়নি বুথ সভাপতিকে? প্রশ্ন তুলে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তৃণমূলের অন্দরে এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। পুলিশের তরফে ওই এলাকায় কড়া নজরদারি রাখ হয়েছে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। বিজেপির কথায়, চুরির টাকা কে ভাগ নেবে? তাই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই।

অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটেও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। সূত্রের খবর, একদিকে যেমন তৃনমূল জেলা কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা ও প্রচার চলছে। অপরদিকে, জেলা কমিটির বিরোধী গোষ্ঠী আলাদাভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে ‘বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চের’ নামে ২১ শে জুলাই প্রচার করছেন বেশ কয়েকজন। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন হল, তৃণমূলের তরফে প্রচার চললেও কেন আলাদা করে নাগরিক মঞ্চের নাম করে প্রচার চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, জেলা কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করেন বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক সুবোধ দাস। তাঁদের বক্তব্য, বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক হিসেবে তাঁরা ২১ জুলাইয়ের প্রচার কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁদের তরফেই বালুরঘাটের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিছু ব্যানারে শহিদ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। একই দাবি টাউন তৃণমূল কনভেনার তথা জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকীর। তিনি বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয় নেই।

বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদে ছড়াচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দল। তেমনই মালদা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের পরিস্থিতি। এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় সমাবেশ হবে কিনা তার জন্য আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।