জয়নগরের তৃ়ণমূল নেতা খুনের পর আক্রান্ত সমর্থকদের ফেরাতে CPIM গেল হাইকোর্টে

জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় গোটা গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। অভিযুক্তদের নাম নজরুল মণ্ডল,…

CPIM Flag

জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় গোটা গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। অভিযুক্তদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি, আমানুল্লাহ জমাদার। এলাকায় তিনজনই তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ঘটনার জেরে আক্রান্ত হয় এলাকার বাম সমর্থক পরিবারগুলি। ঘরছাড়াদের ফেরাতে গিয়ে বারবার পুলিশের বাধা পেয়ে এবার CPIM মামলা করল হাইকোর্টে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর। এই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, খুনের পিছনে সিপিএম কর্মীদের হাত রয়েছে। সেই সন্দেহর বশে গোটা গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জিনিস পত্র ভাঙচুর থেকে শুরু করে সব তছনছ করে দেওয়া হয়।

গ্রামবাসীদের কেউ সিপিআ়ইএম সমর্থক হলেও তাদের অনেকেই জানিয়েছিলেন তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয় এই তিনজন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলার পাশপাশি ভাঙচুরের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ।

Advertisements

উল্লেখ্য, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর নামজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন। দুটি বাইকে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় তাকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সইফুদ্দিনের। দ্রুত সেখানে পৌঁছন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অপর এক দুষ্কৃতী পালাতে গেলে ক্ষিপ্ত জনতার বেদম প্রহারে মৃত্যু হয় তার।