ভোটে নেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। তিনি জিটিএ ভোট (GTA Poll) বয়কট করেছেন। একইপথে গেছে পুরনো পাহাড়ি দলগুলি যেমন জিএনএলএফ, গোর্খা লিগ। এদিকে খবর রবিবার ভোট মিটলেই কলকাতার দিকে রওনা দিতে পারেন গুরুং। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।
রবিবার জিটিএ ভোট চলাকালীন গুরুং বলেন, এই ভোট প্রক্রিয়া পাহাড়ের মানুষের জন্য নয়। আমি প্রথম থেকেই যেভাবে আমার মতামত দিয়েছিলাম, এখনো তাই বলছি। জিটিএ ভোটকে সমর্থন করব না। আমাকে আমাকে যারা ভালবাসেন তাঁদেরকে অনুরোধ করছি তারা যেন কেউ ভোট না দেন এই ভোট পাহাড়ের মানুষের মঙ্গলের জন্য নয়।কোনও উন্নয়ন হবেনা।
গোজমুমো নেতা ভোট বয়কট করলেও তাতে তেমন প্রভাব পড়েনি। আগে গুরুং বললে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জনজীবন থমকে যেত। এবার তাঁর জিটিএ ভোট বয়কটের ডাক উপেক্ষা করছেন জিটিএ অন্তর্ভূক্ত এলাকাবাসী। ভোট চলছে।
ভোট দেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতায় থাকা হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড। দুটি দলের মধ্যে মূল লডাই। এছাড়া আছে টিএমসির বিনয় তামাং, সিপিআইএম ও কংগ্রেস। এক দশক পর জিটিএ ভোটে কেবল নেই গুরুং। একইভাবে সরে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। সাংসদ রাজু বিস্ত আগেই ভোট বয়কটের পথে গেছেন।
গোর্খাল্যান্ড আবেগ তুলে কখনও বিজেপি কখনও তৃণমূলের সঙ্গে যাওয়া বারবার রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করা বিমল গুরুংয়ের দিক থেকে গত লোকসভা ভোট থেকেই মুখ ঘুরছিল দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের গোর্খা জনগোষ্ঠীর। দার্জিলিং পুরভোট গুরুংকে একেবারে ক্ষমতাহীন করে দেয়। জিটিএ ভোটে বিপদ বুঝতে পেরে তিনি ভোট বয়কট করেন।
পাহাড়ি ভোটের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। জিটিএ ফলাফলে সেটা স্পষ্ট হবে।