রাজ্যে করোনা চিকিৎসার প্রোটোকল থেকে বাদ পড়ল মোলনুপিরাভির-মনোক্লোনাল

গত ৩১ জানুয়ারি রাজ্যের করোনা চিকিৎসায় জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছিল মোলনুপিরাভির এবং ককটেল থেরাপি বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি। তবে তিনদিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত…

Molnupiravir-monoclonal was excluded from the corona treatment protocol in the state

গত ৩১ জানুয়ারি রাজ্যের করোনা চিকিৎসায় জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছিল মোলনুপিরাভির এবং ককটেল থেরাপি বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি। তবে তিনদিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত বদল করল স্বাস্থ্য দফতর। কেন্দ্রের নির্দেশিকা না থাকায় আপাতত ব্যবহার করা হবেনা এই দুটি ওষুধ, এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

রাজ্যের তরফে এই নয়া চিকিৎসাবিধি প্রকাশ হওয়ার পরই বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। বিশেষজ্ঞ মহল সেইসময় প্রশ্ন তোলে, ওমিক্রন রুখতে মনোক্লোনাল কার্যকরী না, তাহলে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে কেন। আইসিএমআরের নির্দেশিকা ছাড়াই কীভাবে বাংলা এই দুটি চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনুমোদন দিল। মোলনুপিরাভির বাজারে সহজলভ্য নয় তাহলে কীকরে যে ওষুধ বাজারেই আসেনি তা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। ককটেল থেরাপির মত ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ কীভাবে সামলাবে রাজ্য।

উল্লেখ্য, ২০২১-এর শেষের দিকে সৌরভ গাঙ্গুলি করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর চিকিৎসায় ককটেল থেরাপি ব্যবহার করা হলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপরই নতুন চিকিৎসাবিধি জারি করে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও, হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওমিক্রন নয় করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি।