কালীঘাটের কাকুর ‘ঘাড় ধরে ভয়েস বার করা উচিত’: অধীর চৌধুরী

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা SSKM হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআইতে নিয়ে আসেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সেখানে তার গলার স্বর সংগ্রহ করা হয়। সেই স্বর পরীক্ষা করার…

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা SSKM হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআইতে নিয়ে আসেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সেখানে তার গলার স্বর সংগ্রহ করা হয়। সেই স্বর পরীক্ষা করার কথা। তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ঠ সুজয়কৃষ্ণ।

সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর সংগ্রহ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ” ঘাড় ধরে ভয়েস বার করা উচিত”। তিনি আগেই বারবার ইঙ্গিতে বলেছেন নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবই জানতেন।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, কাকু মুখ খুললে তাঁর বস অবধি তদন্তকারী সংস্থা পৌঁছে যাবে।

কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিষয়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “যে তদন্ত চলছিল সে তদন্ত থেকে পাঁচ থেকে ছয় মাস নষ্ট করেছে। এজন্য আলাদা করে যদি কোনও ধারা দেওয়া যায় । তাহলে ওনার বিরূদ্ধে লাগানো দরকার। এর সঙ্গেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এর জবাব দিতে হবে। এসএসকেএম শুধু পশ্চিমবঙ্গ না বরং ওটা ভারতবর্ষের একটি প্রথম সারির হাসপাতাল। যারা আধিকারিক রয়েছেন তাদের শাসক দলরা যেভাবে অন্যায় করাচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। দিনের শেষে বলবো আইনের জয় হবে। আশা রাখব এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত চাকরি বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ যেন ছাড় না পায়। যত বড়ই মাথা হোক না কেন কেউ যেন ছাড় না পায় তার ব্যবস্থা কোর্টের মাধ্যমে হবে”।

ইডি আগেই জানিয়েছে,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ জরুরি। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তার একটি গুরত্বপূর্ণ ভয়েস মেসেজ মিলেছে। যে কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা জরুরি। এতেই নিয়োগ মামলার অনেক রহস্য ভেদ হতে পারে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ মে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। এর পর থেকে তদন্ত ধীরে চালাতে বারে বারে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। গত অগস্টে বাইপাস সার্জারি হয় সুজয়কৃষ্ণের। ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত ২২ অগস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই থেকে হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে তিনি।