Anubrata Mondal: দেহরক্ষী সায়গলের গাড়িতে চেপে অনুব্রতকে জালে তুলতে চায় সিবিআই

গোরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal) অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার তাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে…

Anubrata body guard saigal

গোরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal) অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার তাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে। এদিন সকালেই নিজাম প্যালেসের দফতর থেকে বেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সিবিআই দল।

সায়গলকে গ্রেফতারের পর তার নিউটাউন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। আকাশবাণী সংবাদ জানাচ্ছে, সায়গলের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা।

   

এত সোনা কী করে সায়গল হোসেনের কাছে এলো তা জানতে মরিয়া সিবিআই। এর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সায়গল হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গালকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। রাজ্য পুলিশের কর্মী সায়গলকে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।সিবিআই জানতে পেরেছে, অনুব্রতর নির্দেশে বহু লেনদেন করত সায়গল।

অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে সায়গালের অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। তার নামে বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগে তাঁকে ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অভিযোগ, অনুব্রতর কিছু সম্পত্তি সায়গালের নামে রয়েছে বলে জানা যায়। একজন দেহরক্ষীর এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কীভাবে হলো এতেই সন্দেহ জাগে গোয়েন্দা কর্তাদের।

রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত সায়গল হোসেনের বাড়ি ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, তার বাবা পুলিশের সাবইনস্পেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে পুলিশে চাকরি পেয়েছিল সায়গল হোসেন। কিন্তু নিউটাউনের বাড়ি থেকে পযে বিপুল পরিমাণ সোনা মিলেছে তাতেই চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই কর্তাদের।