HomeWest Bengalটানা দুই সপ্তাহে দুই বিধায়কের দুয়ারে সিবিআই, জনসংযোগ যাত্রার আগে প্রশ্নের মুখে...

টানা দুই সপ্তাহে দুই বিধায়কের দুয়ারে সিবিআই, জনসংযোগ যাত্রার আগে প্রশ্নের মুখে অভিষেক

- Advertisement -

গত সপ্তাহের শুক্রবারের দুপুর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে গ্রেফতার হন তিনি৷ পরের সপ্তাহের শুক্রবারের দুপুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে উপস্থিত সিবিআই৷ রাজ্যজুড়ে জনসংযোগে নামতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তার আগে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শাসক দল৷

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একাধিক এজেন্টের কাছ থেকে জীবনকৃষ্ণের নামের হদিশ পেতেই বিরাট অভিযানে নামে সিবিআই। দীর্ঘ সময় ধরে চলে নাটকীয় পর্ব৷ কখনো পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছেন বিধায়ক, আবার কখনো ফোন ফেলে দিয়েছেন বাড়ির পাশের পুকুরে। ৬৫ ঘন্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷

Advertisements

ঠিক এক সপ্তাহ পরেই হাইকোর্টের নির্দেশে তাপস সাহার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে সিবিআই৷ বাড়ির চারপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভর্তি৷ সিবিআই দেখতে ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক৷ সেই মামলায় তার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একাধিকজন গ্রেফতার হয়েছে৷ কিন্তু তিনি বাইরে। বিধায়কের মন্তব্য সবকিছু জানাবেন সিবিআইকে। তিনি পাঁচ টাকা নেননি৷ অথচ তার আপ্ত সহায়কের বক্তব্য, তিনি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে দিয়েছে তাপস সাহাকে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। জনসংযোগে নামতে চলেছেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মূলত, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতেই তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি৷ কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, বৈশাখে মাত্র দুই বিধায়ক সিবিআইয়ের তালিকায় থাকলেও সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে চলেছে। জীবনকৃষ্ণের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ জন বিধায়কের নাম মিলেছে৷ আগামী দিনে তাঁদেরকেও তলব করা হতে পারে৷ তাই অভিষেকের সফরের আগে সিঁদূরে মেঘ দেখছে তৃণমূল৷

এখনও অবধি শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল৷ দলের সদস্যপদের তালিকায় রয়েছে মানিক ও জীবনকৃষ্ণ৷ তাঁদেরকে নিয়ে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেবে ঘাসফুল৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতি করলে দল কোনভাবেই দায় নেবে না৷ আইন আইনের পথে চলবে৷ কিন্তু অভিযুক্তদের তালিকা যেভাবে বাড়ছে তাতে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর বক্তব্য, বিধানসভায় সংখ্যা কমানোর কৌশল এটা। যদিও দুর্নীতির বহর যা, তাতে আগামী দিনে আরও তৃণমূল নেতাদের নাম যুক্ত হতে পারে৷ এমনটাই সূত্রে খবর৷

Advertisements

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

এই সংক্রান্ত আরও সংবাদ