চাকরি দেওয়ার নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ! তৃণমূল নেতার কীর্তিতে চক্ষুচড়ক গাছ

আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক তৃণমূল নেতা এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার…

nawda police station

short-samachar

আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক তৃণমূল নেতা এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফাত্র হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী সঞ্জিত রায়। নওদা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা।

   

শ্লীলতাহনিকাণ্ডে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলেন, সেই মহিলা আইপিএস ইন্দিরা এবার পাচ্ছেন ‘পুলিশ মেডেল’

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, তিনি মুর্শিদাবাদের নওদা থানার আমতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সমস্ত নথিপত্র নিয়ে মহিলাকে তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন। সেই মতো মহিলা শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান। অভিযোগ, ঘরে ঢোকামাত্রই দরজা বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতা। ওই বন্ধ করে রাতভর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ।

ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, সিবিআই তদন্ত আপত্তি নেই, আরজি.কর নিয়ে বার্তা মমতার

আরও জানা গিয়েছে যে, শনিবার সকালে ওই মহিলা তাঁর পরিজনদের ফোন করেন। খবর পাওয়ামাত্রই মহিলাদের পরিবারের লোকজন তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছয়। বন্ধ ঘর থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। নওদা থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান তাঁরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মহিলার আদৌ শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় বিরোধীরা তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।