মোদী-শাহের নতুন আইনে ঘুম উড়তে চলেছে গোটা বাংলার?

গোটা রাজ্য জুড়ে গুজব এবং গণপিটুনি যেন একটা মহামারীর আকার নিয়েছে (Bharatiya Nyaya Sanhita)। জুন মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ গত রবিবারে একদিনে তিনটি গণপিটুনিতে মৃত্যুর…

গোটা রাজ্য জুড়ে গুজব এবং গণপিটুনি যেন একটা মহামারীর আকার নিয়েছে (Bharatiya Nyaya Sanhita)। জুন মাসের শেষ দিনে অর্থাৎ গত রবিবারে একদিনে তিনটি গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাচক্রে তার পরদিনই অর্থাৎ জুলাইয়ের প্রথম দিনে গোটা দেশ জুড়ে লাগু হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)। সেই সংহিতাতেই গণপিটুনি নিয়ে অত্যন্ত কড়া দন্ড বিধান করা হল। সব দেখেশুনে কি এবার ঘুম উড়তে চলেছে অপরাধীদের?

দন্ড সংহিতার নয়া (Bharatiya Nyaya Sanhita) আইন অনুযায়ী এবার থেকে গণপিটুনির সাজা হতে চলেছে সাত বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদণ্ড। অর্থাৎ গণপিটুনিতে মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আজীবন হাজতেই কাটাতে হবে নতুন আইন অনুযায়ী।গণপিটুনির ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তো বটেই, মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে অপরাধীর। প্রথমবারের মতো গণপিটুনি এবং বিদ্বেষপূর্ণ হিংসা বা হত্যার ঘটনাকে একটি পৃথক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবার ধর্মীয় কারণে বা গুজবের ভিত্তিতে যদি কোন গণপিটুনি বা সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তাহলে সেটা তখন একটি বিশেষ বিভাগের আওতায় পড়বে। এই ঘটনায় মামলা হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩(২)-এর ধারায়।

   

এই মন্ত্রীর গাড়ির লালবাতি কেড়ে মন্ত্রিত্বে লালবাতি জ্বালাবেন মমতা?

যেদিন এই নয়া কড়া আইন চালু হল, ঠিক তার আগের দিনই কলকাতার বউবাজার এবং সল্টলেকের মত জায়গায় মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, ঘটেছে মৃত্যুও। একই দিনে তারকেশ্বরে গাড়ি চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। নতুন আইনে এবার হাত তোলার আগে অপরাধীরা কি দুবার ভেবে দেখবেন তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে?

অপরদিকে গোটা উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের প্রশাসন ‘ছেলে-ধরা’ গুজবে জেরবার। সঙ্গে থাকা বাচ্চাকে নিয়ে কোনরকম সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিরাটির ঘটনাই হোক বা হাবরা স্টেশন, শুধুমাত্র ছেলে ধরার সন্দেহে শিশুর মাকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিরাটিতেতো ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। পরে দেখা গিয়েছে প্রত্যেকটিই আদতে গুজব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মারধরের অভিযোগে সামনে আসছে মহিলাদেরই নাম। বিরাটির ক্ষেত্রে তো একেবারে ট্রেনের লেডিস কম্পার্টমেন্টের ভিতরে মহিলারাই মারধর করেছিলেন শিশুর মাকে।

সৌন্দর্য বাড়াবার জন্য আনা রঙ-ই শেষ করে দিল হলং বাংলোকে? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

সদ্য লাগু হওয়া নতুন আইনে কি সবাই একটু সচেতন হবেন? হুটহাট করে শুধুমাত্র কানে শোনা ভুয়ো খবরের আবেগে, আইন হাতে তুলে নেওয়ার আগে বাংলার জনতা কি দুবার ভাববেন এবার? ভাবতে তাঁরা বাধ্য। কারণ নতুন আইন বলছে ভাবতে বাধ্য হতেই হবে। তা না হলে বাকি জীবনটা জেলের ভাত খেতে খেতে ভাবতে হতে পারে কেন গুজবে কান দিয়ে অন্যের গায়ে হাত তুললাম!