আর্থিক প্রতারণা গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে গিয়ে আক্রান্ত ৪ পুলিশ কর্মী, ধৃত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: পুরানো আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে অভিযুক্ত’কে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল কাঁথি থানার চারজন পুলিশ কর্মী। রক্তাক্ত জখম চারজন পুলিশ…

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: পুরানো আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে অভিযুক্ত’কে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল কাঁথি থানার চারজন পুলিশ কর্মী। রক্তাক্ত জখম চারজন পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

অবশেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দু’জন অভিয়ুক্ত’কে পাকড়াও করতে সক্ষম হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এখনোও পলাতক রয়েছে। কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিয়ুক্তরা হল শক্তিপদ পাএ ও তার মেয়ে উর্মিলা পাএ। বাড়ী কাঁথি থানার পশ্চিম চন্দনপুর গ্রামে। সোমবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, গত ২০১৮ সালের কাঁথির পশ্চিম চন্দনপুরে বাসিন্দা শক্তিপদ পাএ আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠে। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে হাজিরা দেয়নি শক্তিপদ। এরপর আদালত শক্তিপদ পাত্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আদালতে অভিযোগ মূলে সোমবার ভোর রাতে কাঁথি থানার পুলিশ অফিসার গৌতম সাঁতরা নেত্বয়’র পুলিশ বাহিনী পশ্চিম চন্দনপুরে বাসিন্দা শক্তিপদ পাত্রের বাড়ি হাজির হয়।

তখনই পুলিশ শক্তিপদ পাএ’কে গ্রেফতার করতে গেলে পরিবারের সদস্যরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ধারালো অস্ত্র বঁটি ও কাঁটারি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় পরিবারের সদস্যরা। রক্তাক্ত জখম হন পুলিশ কর্মী। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অভিযুক্ত শক্তিপদ পাত্র ও তার মেয়ে উর্মিলা পাত্র’কে আটক করে নিয়ে আসে। ততক্ষণে পরিবারে আর দুই সদস্য ছেলে ও শক্তিপদ স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয়। আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে এই মামলায় কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাঁথি থানার পুলিশ অফিসার গৌতম সাঁতরা। তারপরে কাঁথি থানার পুলিশ বাবা ও মেয়ে’কে গ্রেফতার করে।

কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, “গ্রেফতারি পরোয়ানা মনে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গেলে পরিবারের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র বঁটি ও কাঁটারি বাঁধা দেন। পুলিশ কর্মী জখম হয়ছেন। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷”