টিউশনি পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ যুবক। দশম শ্রেনীর ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থানার এলাকায় বাসিন্দা। ওইসব ছাত্রী বুধবার স্কুল ছুটির পর টিউশান পড়ে বিকেলে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জেলার চণ্ডীপুরের পর নন্দীগ্রাম। পরপর ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হল অতনু দাস, রাকেশ দাস ও অরিজিৎ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার ধৃতকে হলদিয়া মহাকুমা আদালতে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি গণধর্ষণ ও পক্সো আইনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বুধবার বিকালে ১৬ বছরের এক দশম শ্রেনীর ছাএী সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখনই খালপাড়ের কাছে তার রাস্তা আটকায় কয়েজন যুবক বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি মাছের ভেড়ির ঝুপড়ির মধ্যে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় দশম ছাত্রীকে। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিত । রাতেই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পাণ্ডে বলেন ” অভিযোগ পেয়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ৩ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে “। নির্ষাতিতার মা বলেন ” অভিয়ুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই “।
গত কয়েকদিন আগে ২৫ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামেই বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে এসে নিগ্রহের শিকার হয়েছিল চণ্ডীপুর থানা এলাকার এক ছাত্রী। কয়েকজন যুবক মিলে তাকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বাইক থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতরভাবে জখম হয় সে। এলাকায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।