শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়লেই মুশকিল এই একটা রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার একটা রোগ। হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাড়ে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। খারাপ কোলেস্টেরল (LDL cholesterol) বা এলডিএল হল যত নষ্টের গোড়া। তবে কোলেস্টেরল মানেই খারাপ নয়, শরীরে বেশ কিছু উপকারী কোলেস্টেরলও থাকে। হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে ভাল। এলডিএল কমিয়ে এইচডিএলের মাত্রা বাড়ালেই শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
এই কাজই করবে জাইদাস লাইফসায়েন্সের নতুন ওষুধ বেমপেডয়েক। বেমড্যাক ব্র্য়ান্ড নামে এই ওষুধ বাজারে এনেছে জাইদাস (Zydus)। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শার্ভিলর্ভি পটেল বলছেন, ইঞ্জেকশন বা কম্বিনেশন ড্রাগের থেরাপি নিতে হবে না। কম ডোজে খাওয়ার ওষুধেই এলডিএল-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রোজই শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি হয়। প্রতি গ্রাম কোলেস্টেরল তৈরিতে একটা গোটা দিন সময় নেয় যকৃত। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়। তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়া দাঁ য়।
কোলেস্টেরল বেড়ে গেলেই প্রথমেই পরিবর্তনর্ত আনতে হয় রোজকার ডায়েটে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা রও প্রয়োজন আছে। শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। শরীরে মেদ জমলেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, আর ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তেল-মশলা জাতীয় খাবারের আধিক্য, কম নড়াচড়া, শরীরচর্চা য় অনীহা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, মানসিক চাপ, ট্রান্স ফ্যাটের বাড়াবাড়ি ইত্যাদি কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। তাই কোলেস্টরল না কমালে পরবর্তীতে নানারকম শারীরিক সমস্য়া দেখা দেবে।