আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন জনসন

আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলাকালীন জনসনের এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাশিয়া…

আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলাকালীন জনসনের এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য আছে। আগামী সপ্তাহের জনসনের প্রস্তাবিত সফরে সেই মতপার্থক্য দূর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল দিল্লি এসে পৌঁছবেন জনসন।

এই সফরে জনসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে ভারতে ব্রিটেনের বিনিয়োগ, শিল্প গঠন ও কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার চলতি পরিস্থিতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাস দমন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন জনসন।

সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী জনসন ২২ এপ্রিল মোদির মুখোমুখি হবেন। দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও জনসন ও মোদির মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা হবে। ব্রিটেন সরাসরি ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত সরাসরি কিয়েভকে সহযোগিতা না করলেও মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশকে। এই যুদ্ধ কীভাবে থামানো যায় তা নিয়েও জনসন মোদির সঙ্গে কথা বলবেন। দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠকে জ্বালানি সরবরাহ নিয়েও আলোচনা হবে। কারণ যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেলের দর অনেকটাই বেড়েছে। যার ফল ভোগ করছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। ভারতেও পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম এতটাই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।

ব্রিটেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-ব্রিটেন কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে। এই সফরে মোদির রাজ্য গুজরাতেও যাবেন জনসন। আমেদাবাদে বিভিন্ন শিল্পপতির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। মূলত নতুন শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ নিয়েই আলোচনা হবে। জনসনই হবেন প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি গুজরাত যাচ্ছেন।