UK: লকডাউন ভেঙে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মজেছিলেন মদ্যপানের পার্টিতে, তথ্য ফাঁস

ইংল্যান্ডে (UK) গত বছর দেশজুড়ে চলছিল লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের ১০ নম্বর গার্ডেনে ‘ব্রিং ইউর ওউন বুজ’ বা ‘আপনার…

boris johnson

ইংল্যান্ডে (UK) গত বছর দেশজুড়ে চলছিল লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের ১০ নম্বর গার্ডেনে ‘ব্রিং ইউর ওউন বুজ’ বা ‘আপনার নিজের মদ আনুন’ পার্টিতে তার কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং বরিস জনসন ও তার স্ত্রী। লকডাউন নিয়ম ভেঙেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এসেছে।

কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার পরেও তাঁর লকডাউন নিয়ম ভেঙে মদ্যপান পার্টিতে অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক চরমে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বৃটিশ আইটিভি নিউজ একটি ই মেইল প্রকাশ করেছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে ওই পার্টিতে বরিস জনসনের উপস্থিতি। 

সেইসপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই পার্টিতে অন্তত ১০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রায় ৪০ জন অংশ নেন। যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডসও উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ মে আয়োজন করা হয়েছ্ল ওই পার্টির। সে সময় ইংল্যান্ডে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করা নিষিদ্ধ ছিল।প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস ডাউনিং স্ট্রিটের ওই পার্টিতে অংশ নিতে ১০০ এর বেশি জনকে মেইল করেন। এসবের মধ্যে রয়েছেন বরিসের উপদেষ্টা, বক্তৃতা লেখক এবং দরজার স্টাফ। 

সেই মেইলে লেখা ছিল, এক অবিশ্বাস্য ব্যস্ত সময় পর আমরা ভাবছি এই সন্ধায় ১০ নম্বর গার্ডেনে মনোরম আবহাওয়ার সর্বাধিক ব্যবহার করে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে যোগ দিন এবং আপনার মদ নিয়ে আসুন।  

বিবিসি জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এবং তার স্ত্রী পার্টিতে ছিলেন। এই বিষয়ে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দফতর নীরব।

রিপোর্টে বলা হয়েছে পার্টির আয়োজনের সময় দেশটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধ ছিল, বন্ধ ছিল বার, রেস্টুরেন্ট। একই সঙ্গে সামাজিক মেলামেশায় ছিল কড়া নিয়ন্ত্রণ। বিভিন্ন পরিবারের দুজন লোককে বাইরে দেখা করার অনুমতি ছিল। শর্ত ছিল তাদের ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ব্রিটেন সংসদের বিরোধীদল লেবার পার্টির অভিযোগ,  প্রধানমন্ত্রী যে  নিয়ম করেছেন তার প্রতি তাঁর নিজের কোনও সম্মান নেই।