মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, ঘোষণা বিজেপির

মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য সারা দেশের বিরাট নজরে চলে এল ত্রিপুরা। কারণ, শনিবার হঠাৎ করেই ইস্তফা দিলেন বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি মানিক সাহাকেই…

মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য সারা দেশের বিরাট নজরে চলে এল ত্রিপুরা। কারণ, শনিবার হঠাৎ করেই ইস্তফা দিলেন বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি মানিক সাহাকেই বেছে নিল পরিষদীয় দল। কিন্তু এই পর্ব এতটা সহজ ছিল না। তবুও সমস্ত জল্পনা পার করে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মাণিক সাহাকে পরবর্তী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিল বিজেপি। গোটা অধ্যায় যেন আগেই ঠিক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের সঙ্গে রাজভবনে রাজ্যপাল এসএন আর্যের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন মানিক সাহা। উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে।
তবে এদিন মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের এক মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। পরিষদীয় বৈঠকের পরেই কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

অর্থাৎ, যে কারণে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল বিজেপিতে সেই গোষ্ঠি কোন্দল লেগেই থাকল। মূলত বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠি বলেই পরিচিত রামপ্রসাদ পাল। বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজেকে দাবিদার বলে মনে করেছিলেন তিনি।

বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কর্মপদ্ধতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিল্লির নেতাদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এরপরেই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দেয় দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতারা।

শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি মানিক সাহাকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে দিল্লিতে যেতে পারেন বিপ্লব দেব। সেক্ষেত্রে ২৩ এর নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরা একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে।