ইতিহাস আর ভ্রমণের অনন্য মিশেল, ঘুরে আসতে পারেন ধোলাভিরা থেকে

ঐতিহাসিক, অথচ এমন এক জায়গায় ঘুরে আসতে চান যেখানে বেশি লোক সমাগম হয় না তাহলে আপনার গন্তব্য হতে পারে গুজরাটের ধোলাভিরা গ্রাম। সম্প্রতি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড…

ইতিহাস আর ভ্রমণের অনন্য মিশেল, ঘুরে আসতে পারেন ধোলাভিরা থেকে

ঐতিহাসিক, অথচ এমন এক জায়গায় ঘুরে আসতে চান যেখানে বেশি লোক সমাগম হয় না তাহলে আপনার গন্তব্য হতে পারে গুজরাটের ধোলাভিরা গ্রাম। সম্প্রতি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমাও পেয়েছে এই গ্রাম।

ধোলাভিরা। এই নামটা সঙ্গে অনেকেই এখনও পরিচিত নন। হাম্পি, মুর্শিদাবাদ, নালন্দা, আগ্রা, অযোধ্যা, কোনারকের মতো জায়গাগুলি বাঙালির পরিচিত। কিন্তু এই জায়গা এখনও ততটা জনপ্রিয় নয়। পৃথিবীর অতি প্রাচীন হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের এই গ্রাম। ধোলাভিরার অবস্থান কচ্ছের রণের ভিতরে খডির দ্বীপে। এখান থেকে হরপ্পা সভ্যতার বহু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। কার্যত হরপ্পা সভ্যতারই অংশবিশেষ ছিল ধোলাভিরা। সম্ভবত এই সভ্যতার অন্যতম বৃহৎ শহর ছিল এই গ্রাম। যা আজ শুধুই ধ্বংসাবশেষ।

Advertisements

আমআদমির কাছে ধোলাভিরা অতটা পরিচিত না হলেও ইতিহাস খুঁজতে যাঁরা ভালোবাসেন, সেইসব পর্যটকদের কাছে এই জায়গা নেহাত অপরিচিত নয়। হরপ্পা সভ্যতার এই একটি গ্রামই বর্তমানে ভারতের অংশ। সভ্যতার বাকি অংশ পুরোটাই পড়েছে পাকিস্তানে। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন খননের সময় এই গ্রামটি আবিষ্কার হয়। ইতিহাসের টানে প্রতি বছরই গুজরাটের এই গ্রামে অনেক পর্যটক আসেন। হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে এক ঝলক পরিচিত হতে গেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে।