Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের জন্য বুক ফাটছে ফিরহাদ-কুণালের

লোকসভা ভোটের আগে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এই দায়িত্ব নিয়ে চলছে কটাক্ষের পালা।  লোকসভা নির্বাচনের আগে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মণিপুর,…

লোকসভা ভোটের আগে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এই দায়িত্ব নিয়ে চলছে কটাক্ষের পালা। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মণিপুর, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা এবং আন্দামানে বিজেপির বুথ সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি অভিযানের তদারকি করার দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কমিটির সদস্য হিসাবে নেতৃত্ব দেবেন। এই কমিটিতে রয়েছেন বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ।

   

তবে দিলীপ ঘোষকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব না দেওয়ায় রাজনৈতিক কটাক্ষ শুরু হয়েছে। তৃণমূূল কংগ্রেস ও বিজেপির ভিতর থেকে আসছে খোঁচা।

দিলীপকে নিয়ে হঠাতই ‘দরদী’ ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের! রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ আমার বন্ধু, তাঁর জন্য দুঃখ হয়। দলের কাছেই এবার বঞ্চিত হয়ে গেলেন দিলীপবাবু। দিলীপ ঘোষের প্রতি হয়তো অবিচার করা হচ্ছে।’ একই সুর শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষের গলাতেও।

লোকসভা ভোটের আগে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারের মতো গুরত্বপূর্ণ রাজ্যগুলির দায়ভার দিলীপকে দেওয়া হলেও বাংলার দায়িত্ব তাঁকে কেন দেওয়া হল না সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষকে বাংলার রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে দিলীপ ঘোষকে ‘শুভেচ্ছা’ বার্তা দিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। ফেসবুক পোস্ট করে লেখেন, “দিলীপ আর বাংলার নন! রাজ্যের বাইরে বড় দায়িত্বে, অপসারণ না উত্থান, প্রশ্ন বিজেপিতে। অবশ্যই উত্থান। শুভেচ্ছা রইল।”