বাম-রাম হয়ে এবার মমতা স্মরণে খগেনবাবু, বিজেপিতে সাংসদ ধস

যে কোনও দিন চলে যাবেন। আটকানো সম্ভব না। মালদা জেলা বিজেপির তরফে বার্তা চলে গেছে রাজ্য দফতরে। ফলে সাংসদ খগেন মুর্মুর বিজেপি ত্যাগ নিশ্চিত ধরে…

khagen murmu

যে কোনও দিন চলে যাবেন। আটকানো সম্ভব না। মালদা জেলা বিজেপির তরফে বার্তা চলে গেছে রাজ্য দফতরে। ফলে সাংসদ খগেন মুর্মুর বিজেপি ত্যাগ নিশ্চিত ধরে নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।

বঙ্গ বিজেপিতে যে কয়েকন হেভিওয়েট নেতা আছেন যারা সরাসরি সিপিআইএম থেকে বিজেপি হয়েছিলেন তাদের একজন খগেন মুর্মু। এনারা আগে হলদিয়ার লক্ষ্মণ শেঠ ও সর্বশেষ শিলিগুড়ির শংকর ঘোষ। লক্ষ্মণ বাবুর মতো এবার খগেন মুর্মু বিজেপি ত্যাগ করতে চললেন। মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে আটকাতে দলীয় নেতারা শেষ চেষ্টা করছেন।

   

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস স্যোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে। সেখানে সাংসদ খগেন মুর্মুর একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে খগেন মুর্মুর বক্তব্য, বিজেপি দল ময়দানে নয়, শুধুমাত্র স্যোশাল মিডিয়ায় সক্রিয়। এই রাজনীতি অন্য কোথাও চললেও বাংলায় চলবে না। এই সমালোচনার পর থেকেই খগেন মুর্মুর দলত্যাগ ঘিরে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।

খগেন মুর্মু পরপর দুবার মালদার হবিবপুর বিধানসভার সিপিআইএম বিধায়ক হন। তাও আবার বাম জমানার পর ২০১১ ও ২০১৫ সালে ভরা তৃণমূল জমানায়। তিনিই আবার সিপিআইএম ত্যাগ করেন। বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন।

সম্প্রতি অর্জুন সিংয়ের বিজেপি ত্যাগের পর একাধিক সাংসদদের নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সেই তালিকায় সৌমিত্র খাঁ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম আছে। অর্জুন সিং বলেছেন রাজ্যে সবকটি লোকসভা আসন তৃণমূল দখল করবে।