পিকের পরামর্শে গোয়ায় তৃণমূলের “খেলা খতম”, রাজ্য সভাপতির দলত্যাগ

প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলায় চলতে গিয়ে সৈকত রাজ্য গোয়ায় শূন্য পেয়েছে। পরাজিত হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছেন টিএমসির গোয়া…

প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলায় চলতে গিয়ে সৈকত রাজ্য গোয়ায় শূন্য পেয়েছে। পরাজিত হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছেন টিএমসির গোয়া রাজ্য সম্পাদক কিরণ কান্ডোলকর।

তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলকে জেতাতে নয়, কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করতে গোয়ায় গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ওর জন্যই বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। সদ্য দলত্যাগী তৃণমূল রাজ্য সভাপতির কথায়, গোয়ায় তৃণমূলের হারের জন্য দলীয় নেতৃত্ব দায়ী নয়। এমনকি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি তিনি। তাঁদের প্রতি ব্যক্তিগত কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানিয়েছেন কিরণ কন্ডোলকর।

তাঁর অভিযোগ, গোয়ায় তৃণমূলের হয়ে নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। তাই দায় প্রশান্ত কিশোরকে নিতে হবে।

কীরণ কান্ডলকরের কথায়, বহু জনপ্রিয়তা নিয়ে গোয়ায় এসেছিল আইপ্যাক। মানুষের বিশ্বাস জেগেছিল তৃণমূলের ওপর। এমনকি গোয়ায় তৃণমূলের বড় পরিকল্পনা রয়েছে একথা প্রশান্ত কিশোর নিজেই তাঁকেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের আগে সমস্ত কিছু বদল হয়ে যায়।

চলতি বছরেই প্রথমবার গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেখানে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব বর্তেছিল কিরণ কান্ডোলকরের ওপর। বিধানসভা নির্বাচনে কিরণ এবং তার স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। এর পর থেকে একাধিক নেতারা ইস্তফা দিয়েই চলেছেন।

রাজনৈতিক মহলের ধারণ, খুব শীঘ্রই পশ্চিম ভারতে শেষের দিকে তৃণমূলের সংগঠন। যদিও এই ফলাফলে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় সে রাজ্যের তৃণমূল। আগামী দিনের দলকে পুনরায় উজ্জীবিত করেই মাঠে নামতে চায় ঘাসফুল শিবির।