আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই এবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল চিন

ফের একবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল চিন। আমেরিকার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রবিবার রাতে চিন সফলভাবে স্থল ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপশনের পরীক্ষা করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব বর্ণনা…

ফের একবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল চিন। আমেরিকার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রবিবার রাতে চিন সফলভাবে স্থল ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপশনের পরীক্ষা করেছে।

এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব বর্ণনা করে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যেই পরীক্ষা করেছে চিন। এটি কোনো বিশেষ দেশকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়নি।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার অধীনে চীন মহাকাশে সমস্ত ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে উন্নত পারমাণবিক-টিপড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত। বেজিং ইতিমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টর পরীক্ষা চালিয়েছে। চিনের এক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, চিন সর্বপ্রথম ২০১০ সালে ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী পরীক্ষা চালায়।

 

চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রবিবার গভীর রাতে একটি “গ্রাউন্ড-ভিত্তিক মিডকোর্স অ্যান্টি-মিসাইল ইন্টারসেপ্ট প্রযুক্তি” পরীক্ষা করা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে ২০১৬ সালে স্থানীয় টেলিভিশনে ছবি প্রকাশের পর থেকে চিন ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী সিস্টেম পরীক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের প্রযুক্তি থাকা খুবই জরুরি।