Sumit Rathi: ৬ বছর কলকাতায় থেকেও কলকাতার চাপ সামলাতে পারলেন না সুমিত 

কলকাতার বড় ক্লাবে খেলা যে কোনও ভারতীয় ফুটবলারের কাছে স্বপ্নের মতো। সুমিত রাঠি (Sumit Rathi) কলকাতা ফুটবলের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর যুক্ত রয়েছেন। ইন্ডিয়ান সুপার…

Sumit Rathi

কলকাতার বড় ক্লাবে খেলা যে কোনও ভারতীয় ফুটবলারের কাছে স্বপ্নের মতো। সুমিত রাঠি (Sumit Rathi) কলকাতা ফুটবলের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর যুক্ত রয়েছেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত মরসুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan) রিজার্ভ দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। এই মরসুমে তিনি ক্যাপ্টেন নন। কেন? অনেকের মনেই হয়তো এই প্রশ্ন এসেছিল। মঙ্গলবার ক্যালকাটা পুলিশের বিরুদ্ধে ম্যাচে হয়তো খানিকটা উত্তর মিলল। 

   

প্রশ্ন ফাঁসের ষড়যন্ত্র হয়েছিল দমদম এয়ারপোর্টের পাশেই? মধ্যমগ্রামের তিনজনকে গ্রেপ্তার বিহার পুলিশের!

বড় দলে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ থাকবে। মোহনবাগান, ইস্টবেবঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্ষেত্রে এই চাপ থাকবেই। অনেক ফুটবলার এই চাপ সামলাতে পারেন না। সুমিত রাঠি কি চাপ সামলাতে পারছেন? ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব বনাম মোহনবাগান ম্যাচে কল্যাণী স্টেডিয়ামের গ্যালারি অনেকটা ফাঁকা ছিল। বাগানের পারফরম্যন্স আশাপ্রদ নয়। সমর্থক উৎসাহে ভাটা পড়েছে। 

মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পেয়ে গিয়েছিল পেনাল্টি। সদ্য মাঠে নামা ফারদিন গিয়েছিলেন স্পট কিক নিতে। মিস করলেন। ফারদিনের মারা শট রুখে দেন পুলিশের গোলরক্ষক মহিদুল কয়াল। মোহনবাগান আরও একটা পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল এবং মিস করেছিল। ফারদিনের পর পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অভিষেক সূর্যবংশী। 

মোহনবাগানের লিড বজায় ছিল মিনিট ১৫ পর্যন্ত। সবুজ মেরুন দলের তিনজন ফুটবলারের সামনে দিয়ে গোল করে যান রবি দাস। রবি দাসের সামনে উপস্থিত ছিলেন সুমিত রাঠি, সায়ন দাসরা। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বাধা না দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন বল জালে জড়ানোর দৃশ্য। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয়েছে এদিনের ম্যাচ। 

এক নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, তিন নম্বরে হাফসেঞ্চুরি, তবুও গম্ভীরের টিম ইন্ডিয়ায় হল না জায়গা

পুলিশ যে গোল দিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল, সেই গোল হয়তো আটকানো যেত। সুমিত রাঠি রবি দাসের সামনেই ছিলেন। কেন আটকলেন না সেটার উত্তর একমাত্র সুমিতই দিতে পারবেন। ম্যাচের শেষের দিকে সুমিত রাঠি একটি ফ্রি কিক নিয়েছিলেন। বল গিয়ে উড়ে গিয়ে পড়েছিল গ্যালারিতে।