SSC Scam: মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, বিজেপির পথে কুণাল! জল্পনা বাড়ছে

এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে (SSC Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তি দেখে তাজ্জব দলের নীচু তলার কর্মীরাই৷ ক্ষোভ আগুন এসে পড়ল শীর্ষ নেতৃত্বের অন্দরেই। ইডির হেফাজতে থাকা…

suvendu-kunal

এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে (SSC Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তি দেখে তাজ্জব দলের নীচু তলার কর্মীরাই৷ ক্ষোভ আগুন এসে পড়ল শীর্ষ নেতৃত্বের অন্দরেই। ইডির হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এরপর থেকে রাজনৈতিক মহলে কুণালের বিজেপি যোগের জল্পনা প্রবল হয়েছে।

ট্যুইট করে কুণাল জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হোক দলীয় পদ থেকে। কেউ যদি মনে করেন আমি ভুল কথা বলছি, তাহলে দলের অধিকার রয়েছে আমাকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার।

   

https://twitter.com/KunalGhoshAgain/status/1552509784745578498?s=20&t=Amx3mgpv138pzfg_Sq34Xg

উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপির বৈঠক চালাকালীন ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে কুণালের সাক্ষাত রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেয়। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার বিজেপির অফিস সেক্রেটারি প্রণয় রায় এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বৈঠকে কথা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এই বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল না। কিন্তু কুণাল নিজে মানিকতলা বিধানসভা এলাকার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে যান, যেখানে ধর্মেন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিজেপির তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, ধর্মেন্দ্র ওই কর্মীর বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি নৈশাহারের জন্য গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীর বাড়ি যে আবাসনে, কুণালও ওই আবাসনের বাসিন্দা। সেই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। কুণাল কাউকে না জানিয়েই ওই অনুষ্ঠানে আসেন। তাঁরা পূর্ব পরিচিত, রাজ্যসভায় তাঁদের কাটানো সময়ের কথা উল্লেখ করেন ধর্মেন্দ্র। দ্রুতই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই জায়গা থেকে চলে যান বলেই দাবি করা হয় বিবৃতিতে।

পরে কুণাল ঘোষের তরফে জানানো হয়, হ্যাঁ, ঘটনাক্রমে আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম, শনিবার আমি যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন। কিন্তু ভাবতে পারিনি যে এই ছোট বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অযথা জলঘোলা করবে। এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি ছিল না। আমি যেখানে থাকি সেই আবাসনেই অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আমাকে দেখে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে আমাকে ভিতরে নিয়ে যান। ধর্মেন্দ্র প্রধানের সৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তিনি৷

সেখান থেকেই তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা প্রবল হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি নয় কুণাল ঘোষ। তাঁর ব্যাখা, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নিজদের অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে। তাই প্রেস বিবৃতি দিতে হচ্ছে।