Rohingya: শ্রীলংকা নৌবাহিনীর উদ্যোগে উদ্ধার মুমূর্ষু শতাধিক রোহিঙ্গা

বঙ্গোপসাগর থেকে আন্দামান সাগরে ভেসে আসা একটি নৌকায় শতাধিক (Rohingya)  রোহিঙ্গা শরণার্থী জলের অভাবে মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। শিশু সহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অবশেষে উদ্ধার…

short-samachar

বঙ্গোপসাগর থেকে আন্দামান সাগরে ভেসে আসা একটি নৌকায় শতাধিক (Rohingya)  রোহিঙ্গা শরণার্থী জলের অভাবে মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। শিশু সহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অবশেষে উদ্ধার করেছে (Sri Lanka Navy) শ্রীলংকা নৌবাহিনী। রাষ্ট্রসংঘের (UN) তরফে ওই রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলির কাছে দ্রুত সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছিল।

   

আল জাজিরা জানাচ্ছে, একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চেপে কমপক্ষে ১৫০ রোহিঙ্গা অন্য দেশে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তাদের নৌকার ইঞ্জিন মাঝ সাগরে খারাপ হয়ে যায়। এরপর সেই নৌকা আন্দামান সাগরে ভারতের অন্তর্গত নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভাসছিল। জলের অভাবে শিশু সহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। স্যাটেলাইট ছবিতে এই দৃশ্য দেখে রাষ্ট্রসংঘ বিভিন্ন দেশের কাছে উদ্ধারের জন্য আবেদন করে।

রয়টার্স জানাচ্ছে,  শ্রীলংকা নৌবাহিনীর রাডারে ধরা পড়ে তাদের জলসীমার কাছাকাছি  উত্তর উপকূল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে  একটি নৌকা ভাসছে। সেখানে পৌঁছে যায় লঙ্কার নৌবাহিনী। তারা বিশ্বের সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর ১০৪ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। রোহিঙ্গারা জামিয়েছে, তারা মায়ানমারের আরাকান উপকূল থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যাচ্ছিল।

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর মুখপাত্র গায়ান বিক্রমাসুর্য জানিয়েছেন, উদ্ধারকরা রোহিঙ্গাদের নিয়মমাফিক  পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো করা হবে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩৯ জন নারী ও ২৩ জন শিশু। এছাড়া একজন ৮০ বছর বয়সী পুরুষ, একজন নারী ও তার দুই সন্তান অসুস্থ।তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গারা। তাদের  বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে  বর্মী সেনাবাহিনীর অভিযান চলে। গণহত্যার ঘটনাও ঘটে।  প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের জন্য চট্টগ্রামে শরণার্থী শিবির চলছে। তবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলা ও অপরাধ সংক্রান্তি কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাদের নিয়ে চলছে মানব পাচার ব্যবসা। বাংলাদেশ সরকারের বারবার আহ্বানেও মায়ানমারে সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চায়না।

এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের খবর, ওই নৌকাটি গত মাসে  সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছিল।  তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেটি ভাসছিল। রওনা হওয়ার কয়েকদিন পরই সেটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তারপর থেকে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসছিল।