অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় শ্রীলংকা (Sri Lanka) সরকার ব্যর্থ। এর জেরে প্রবল হিংসাত্মক গণবিক্ষোভের মুখে মন্ত্রিসভার সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারী মুখোমুখি। প্রেসিডেন্ট ভবনে নতুন করে হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্য তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে থমকে গেছে শ্রীলংকা। করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটক আসেনি। আয় কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে জ্বালানি আমদানিও কমেছে। এটাই শ্রীলংকার আর্থিক সংকটের অন্যতম কারণ। দিনের অর্ধেক বা তারও বেশি সময় চলছে লোডশেডিং, খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি সংকটে মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে।
২০১৯ সালে ‘শক্ত হাতে’ দেশ শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় বসেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এবার উল্টো পিঠ দেখছেন তিনি। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধন সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভের পর শুক্রবার ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। সোমবার থেকে নতুন নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।