Sri Lanka Crisis: বিদ্রোহী লঙ্কাবাসীদের থামাতে সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ

শ্রীলংকায় (Sri Lanka Crisis) কি গণহত্যা সংঘটিত হতে চলেছে? কারণ লাখ লাখ বিদ্রোহী জনতার উপর সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই নির্দেশের…

Sri Lanka Crisis

শ্রীলংকায় (Sri Lanka Crisis) কি গণহত্যা সংঘটিত হতে চলেছে? কারণ লাখ লাখ বিদ্রোহী জনতার উপর সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই নির্দেশের পরেই জটিলতা আরও বাড়ছে। কারণ, পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে যেখানে প্রাণ ভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সেখান থেকে হটার বদলে ঘেরাও আরও বাড়ল।

যে কোনও সময় মাহিন্দা রাজাপাকসে সহ অপসারিত সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী, সাংসদ সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। রাজাপাকসে সরকারের লাগামহীম দূর্নীতি ও সম্পত্তি কুক্ষিগত করার জেরে করোনা সংকটের পর শ্রীলংকার আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এমনই অভিযোগ। ফলে জনতার রোষ গিয়ে পড়েছে রাজাপাকসে পরিবারের উপর।

পদত্যাগ করে জনতার রোষ থেকে বাঁচতে শ্রীলংকার নৌ বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ঢুকেছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। সেখানে ঘিরে রাখা জনতা ও সরকারের সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা।

শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ,কেউ সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা ব্যক্তিগত ক্ষতি করে তবে তার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির স্থল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কাছে এই নির্দেশ চলে গিয়েছে। দেশটিতে কারফিউ চলছে। বুধবার পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

এর আগে শ্রীলঙ্কার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ক্ষমতাবলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যে কোনও ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এই ক্ষমতা প্রদান করেন। এই ক্ষমতাবলে এখন থেকে সামরিক বাহিনী যে কোনও ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে ২৪ ঘণ্টা নিজেদের কাছে রাখতে পারবে।

অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় তীব্র আন্দোলনের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক সাংসদ সহ আট জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুশোর বেশি।

বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদদের রাজনীতিবিদদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনেও আক্রমণ করেছে বিক্ষোভকারীরা। তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে যান। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রাজাপাকসে ত্রিঙ্কোমালি শহরের একটি নৌঘাঁটিতে পরিবারের কিছু সদস্যদের আশ্রয় নিয়েছেন। ওই নৌ ঘাঁটি ঘিরে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।