ইউক্রেন ছেড়ে ফিরে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ফোনে কথা হয়। সেখানে জনসন বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে সামরিক বাহিনী সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। তার “খুব কম প্রমাণ” পাওয়া গিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘের অধীনে থাকা রাষ্ট্রগুলিকে রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে চলতে হবে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে রক্ষা করতে হবে। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র এও বলেছেন যে এই তাঁরা এই বিষয়েও একমত যে ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের ফল “বিপর্যয়কর এবং সুদূরপ্রসারী”। ইউক্রেনের সীমান্তে বর্তমানে তৈরি হওয়া সঙ্কট নিয়ে আলোচনার বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক রয়েছে। তার আগে এই আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত মস্কো ইউক্রেন সীমান্তে ১ লক্ষেরও বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধ হয় হয় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যুদ্ধের আশঙ্কায় প্রহর গুনছিল গোটা আন্তর্জাতিক মহল। ভারত সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়াও তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আমেরিকার আশঙ্কা ছিল এক-দুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনে হতে পারে রুশ হামলা। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, ক্রিমিয়ায় সামরিক মহড়া শেষ করার ঘোষণা করেছে রাশিয়া, সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের কাজ। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মারফত এমনটাই খবর মিলেছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, “সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ইউনিটগুলি, অনুশীলনে তাদের অংশগ্রহণ সম্পন্ন করার পরে, তাদের ছাউনিতে ফিরে যাচ্ছে।”