Russia-Ukraine Crisis : ‘বশ্যতা স্বীকার না করলে আমি খুন করবো’, হুমকি পুতিনের

ইতিহাসের পাতা থেকে (Russia-Ukraine Crisis)  বেরোতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সাবেকি সোভিয়েত ধাঁচে ধরে রাখতে চাইছেন রাশিয়ার মসনদ। তার জন্য ইউক্রেন সমস্যাকে…

Russia-Ukraine Crisis

ইতিহাসের পাতা থেকে (Russia-Ukraine Crisis)  বেরোতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সাবেকি সোভিয়েত ধাঁচে ধরে রাখতে চাইছেন রাশিয়ার মসনদ। তার জন্য ইউক্রেন সমস্যাকে সামনে রেখে ‘খুন’ করতেও পিছু হটবেন না তিনি।

Advertisements

১৯৯১ সালে সোভিয়েত শাসন থেকে বেরিয়ে এসেছিল ইউক্রেন। সাহায্য প্রার্থনা করেছিল ‘ন্যাটো’র কাছে। পুতিন ক্ষমতায় এসেছিলেন ১৯৯৯ সালে। খনিজ তেল, জীবাশ্ম ইত্যাদি খননের মাধ্যমে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন রুশ অর্থনীতিকে। সেই থেকে এখনও রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি।

   

সম্প্রতি জনপ্রিয়তায় এসেছে ভাটা। অর্থনীতির বৃদ্ধি আগের তুলনায় মন্থর। সামনে নির্বাচন। ২০২৪ সালে ভাগ্য পরীক্ষা হবে প্রেসিডেন্টের। যেনতেন প্রকারে সিংহাসন ধরে রাখতে চাইছেন তিনি, অভিযোগ বিরোধীদের।

পুতিন সাবেকি সোভিয়েত ঘরানার রাজনীতিবিদ। তৎকালীন সোভিয়েতের গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি-তে ছিলেন। পরে হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক যে আসলে কেমন তা হয়তো বলতে পারবেন না অতি বড় বোদ্ধাও। মার্কিন মুলুককে সন্দেহের চোখে দেখেন তিনি। সন্দেহ করেন সিআইএ-কে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁদের মধ্যেকার বন্ধুত্ব ঠিক কতটা মসৃণ। ইউক্রেনে হামলা হলে আমেরিকাও দেখিয়ে দেবে রাশিয়াকে। বলেছেন জো বাইডেন।

বাইডেনের হুমকির পরেও মিলিটারি মেজাজের পুতিন দমার পাত্র নন। ইউক্রেনকে আগেই দিয়ে রেখেছেন হুমকি- ‘ম্যারি মি, অর আই উইল কিল ইউ’। অর্থাৎ, হয় বশ্যতা স্বীকার করো, নয়তো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সেনা।

আবারও কি ইউক্রেনের জমিতে কামড় বসাবে রাশিয়া? আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যনে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Russia-Ukraine Crisis

সাম্প্রতিক ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতিতে বড়সড়ভাবে উঠে আসছে ক্রিমিয়ার প্রসঙ্গটি। ২০১৪ সালের কথা। আগাম কোনো সংকেত ছাড়াই প্রবেশ করেছিল রুশ সেনা। ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করেছিল অসহায়ভাবে। পরে পুতিন জানিয়েছিলেন যে সেই সশস্ত্র দল রাশিয়ান সেনার। ইউক্রেনে কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের মস্কোর প্রতি প্রেম অফুরান। রাশিয়ান সরকারও তাদের প্রতি সদয়।