Rishi Sunak: ব্রিটিস সংবাদপত্রে ইঙ্গিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকই প্রধানমন্ত্রী

তীব্র রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে ব্রিটেনের (England ) রাজনীতিতে। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (Consertive Party) মধ্যেও নেতা নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন চরমে। লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে…

তীব্র রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে ব্রিটেনের (England ) রাজনীতিতে। ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (Consertive Party) মধ্যেও নেতা নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন চরমে। লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ফের চর্চিত হতে থাকেন প্রাক্তন প্রধানত বরিস জনসন ও ঋষি সুনক। বিবিসির খবর ঋষির (Rishi Sunak) পাল্লা ভারী।

বিবিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিস জনসন। ফলে ফলে ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেল। তিনি যদি কুর্সিতে বসতে পারেন তবে নজির গড়বেন। কারণ তিনি ভারতীয় বংশজাত ব্রিটিশ নাগরিক।

স্কাই নিউজ বলছে, দলীয় অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হতে দরকার ১০০ সাংসদের সমর্থন। বরিস জনসনের পক্ষে ৫৯ জন সমর্থন দেন। আর ঋষি সুনকের পক্ষে ১৫০ জনের সমর্থন এসেছে বলেই জানা গেছে। আর অপর প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১২৫ জনের সমর্থন। যদিও কনজারভেটিভ পার্টি এখনও তাদের ঘোষণা জানায়নি।

ব্রিটেনের সব সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় সুনকের নামে বিশেষ সংবাদ এসেছে:

The Times জানাচ্ছে, বরিস জনসন নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার হলো ঋষি সুনকের।

Daily Miror, The Sun জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ঋষি সুনক। 

Daily Express লিখেছে বসির সরে যাওয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষায় ঋষি।

বিবিসির খবর, কনজাভেটিভ পার্টির নতুন নিয়মে ব্রিটোনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০ সাংসদেপ সমর্থন প্রয়োজন হয়। যারা কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অংশ নিতে ইচ্ছুক, তাদের এই সমর্থন সংখ্যা নিশ্চিত করতে হবে।

ঋষি সুনক সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় বংশজাত। তাঁর মা উষা ও পিতা যশবীর দুজনেই ভারতীয়। ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির। পরবর্তী সময়ে বিনিযোগ ব্যবসার এক সফল ব্যক্তিত্ব হন। তাঁর স্ত্রী হলেন বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক ব্যবসায়ী এন আর নারায়ণমূর্তির কন্যা। ফলে শ্বশুরকুলের বিরাট প্রভাবে দ্রুত ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে পাকা আসন করে নেন ঋষি। কনজারভেটিভ দলের সদস্য হন। এবার ঋষির সামনে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভাবনা। তিনি ইতিমধ্যেই ওয়েটিং পিএম নামে পরিচিত হয়েছেন।