জেনে নিন এটিএম থেকে নষ্ট নোট পেলে কী করতে হবে

যদিও গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বাজারে ডিজিটালাইজেশন প্রভাব বিস্তার করছে , তবুও অনেক সময়েই হাতে নগদের প্রয়োজন হয়৷ ফলে নগদ টাকাকে আজও অগ্রাহ্য করা…

Received a torn or soiled currency note from ATM

যদিও গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বাজারে ডিজিটালাইজেশন প্রভাব বিস্তার করছে , তবুও অনেক সময়েই হাতে নগদের প্রয়োজন হয়৷ ফলে নগদ টাকাকে আজও অগ্রাহ্য করা যায় না৷ আর সেক্ষেত্রে সকলকেই নগদ টাকা সংগ্রহ করতেই হয় আর সেক্ষেত্রে তা সংগ্রহ করার প্রধান রাস্তা অবশ্যই এটিএম (ATM) থেকে টাকা তোলা৷

টাকা তোলার ক্ষত্রে এটিএম বর্তমানে বলতে গেলে সবচেয়ে ব্যবহারকারী বান্ধব ডিভাইস৷ কিন্তু এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে পাশ থেকে ছেড়া, ফাটা, নষ্ট নোট বের হলে – তখন কী করবেন? কিন্তু এটা অনেকেই বোঝেন তখন কিন্তু কেউ ওই পাশ থেকে ছেড়া, ফাটা, নষ্ট নোট নেবে না৷ তেমন কিছু হলে অবশ্য দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই কারণ তা বদলে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷

সেক্ষেত্রে বিকৃত নোট বদলে নেওয়া জন্য আপনাকে সেই ব্যাংকে আবেদন করতে হবে যার এটিএম থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এজন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট এটিএম থেকে টাকা তোলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য- যেমন তারিখ, সময় এবং অবস্থান উল্লেখ করতে হবে যেখান থেকে আপনি ওই টাকা তুলেছেন এবং সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্লিপটিও সংযুক্ত করে সেখানে জমা দিতে হবে। যদি আপনার কাছে ওই স্লিপটি না থাকে তাহলে টাকা তোলার পরে আপনার মোবাইলে যে মেসেজটি এসেছিল সেটাই বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে ৷

আরবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিকৃত নোট বদলে নেওয়া যাবে না, কিন্তু টুইটারে একজন ব্যবহারকারীর এই বিষয়ে অভিযোগের সুরাহা করে, একটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকের কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বলেছে, ‘‘দয়া করে মনে রাখবেন যে আমাদের এটিএমগুলিতে ভরার আগে নোটগুলিকে অত্যাধুনিক নোট বাছাই মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তাই নোংরা/বিকৃত নোট বিতরণ অসম্ভব। তাও যাইহোক, আপনি আমাদের যে কোন শাখা থেকে নোট বদলে নিতে পারেন।’’

এসবিআই এর মতানুসারে, একজন ব্যক্তি সাধারণ ব্যাংকিং অথবা নগদ সম্পর্কিত বিভাগের অধীনে https://crcf.sbi.co.in/ccf/ এ একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এই লিঙ্কটি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এটিএম এর জন্য। উল্লেখ্য, কোনও ব্যাংক বলতে পারে না এটিএম থেকে বের হওয়া বিকৃত নোট বদলে দিতে পারা যাবে না। তা সত্ত্বেও, যদি ব্যাংকগুলি নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে ওই ব্যাংক কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্ষেত্রে ব্যাংককে ১০,০০০টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে।