Sri Lanka Crisis: জনরোষ থেকে জীবন বাঁচাতে রাজাপাকসে ভারতে পলাতক? শ্রীলংকায় ‘লঙ্কাকাণ্ড’

কোথায় গেছে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসে? শ্রীলংকা জুড়ে ছড়িয়েছে রাজপাকসে দেশে নেই। সে জীবন বা়ঁচাতে নৌ বাহিনীর সাহায্যে ভারতে চলে গেছে। নিয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়। এই…

কোথায় গেছে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসে? শ্রীলংকা জুড়ে ছড়িয়েছে রাজপাকসে দেশে নেই। সে জীবন বা়ঁচাতে নৌ বাহিনীর সাহায্যে ভারতে চলে গেছে। নিয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়। এই রটনা হু হু করে ছড়িয়ে (Sri Lanka Crisis) বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলল।

চরম অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার পদত্যাগের আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন ধরানোর পর পদত্যাগী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য ত্রিঙ্কোমালি শহরের নৌ ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার সেই ঘাঁটি ঘিরে জনতার বিক্ষোভ চলে।

বুধবার শ্রীলংকা জুড়ে সোশ্যাল সাইটে মাহিন্দা রাজাপাকসের দেশত্যাগ নিয়ে পরপর পোস্ট শুরু হয়। এতে অনেকেই দাবি করেন, গোপনে নৌ বাহিনীর সাহায্যে ভারতে পালিয়েছে রাজাপাকসে ও তার পরিবার।

এর পর বিবৃতি দেয় শ্রীলংকার ভারতীয় হাইকমিশন।মাহিন্দা রাজাপাকসের ভারতের পালানোর বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে।  ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, মাহিন্দা রাজাপাকসের ভারতের পালানোর সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শ্রীলংকায় জনরোষের কারণ, দেশে তীব্র আর্থিক সংকট। অভিযোগ, মাহিন্দা রাজাপাকসে ও সরকারের মন্ত্রীরা নিজেদের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়ে দেশের অর্থ ব্যবস্থার সংকট কাটাতে চায়নি। সে কারণে শ্রীলংকার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।

প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে সরকারপন্থীরা। এতে দু পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয় এবং তা রাজাধানী কলম্বো সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদের বাড়িতে আগুন ধরায়।

সংঘর্ষ থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট। তাতে আরও সংঘর্ষ ছড়ায়। শেষে শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।

সংঘর্ষে বাড়ছে মৃত্যু। শ্রীলংকায় চলছে ‘লঙ্কাকান্ড’