CPIM: ভোটে মরে যাওয়া বামফ্রন্টের জন্য ‘তৃণমূলী দুর্নীতি এখন বুস্টার ডোজ’

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ জেলবন্দি। আবার গরু পাচার মামলাতেও কেষ্ট জেলে৷ এই সুযোগ মোটেই হাতছাড়া করতে নারাজ বিরোধী শিবির৷ তাই নিয়মিত আন্দোলনের মাধ্যমে সুর চড়াচ্ছে…

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ জেলবন্দি। আবার গরু পাচার মামলাতেও কেষ্ট জেলে৷ এই সুযোগ মোটেই হাতছাড়া করতে নারাজ বিরোধী শিবির৷ তাই নিয়মিত আন্দোলনের মাধ্যমে সুর চড়াচ্ছে বাম শিবির (CPIM)৷ লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় চলছে জেলাশাসক অফিস ঘেরাও অভিযান। নটে গাছের মতো মুড়িয়ে যাওয়া CPIM এর গরম মুখ দেখে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তৃণমূলী দুর্নীতি বুস্টার ডোজের মতো কাজ করছে।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বাম আমলের সূর্য যখন অস্তাচলে, তখন একাধিক দুর্নীতিতে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা৷ নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর রাজনীতির ইতিহাসে জায়গা পেলেও তৎকালীন সরকারের ছোট ঘটনাও মমতার রাজনৈতিক সারণীতে জায়গা পেয়েছিল। সময় বদলে সরকারে মমতা৷ বিরোধী বেঞ্চের পর এখন শূন্যহাতে ঘুরে বেড়ানো বামেরা হাতছাড়া করতে চায় না এই সুযোগ৷

শাসক দলের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাদের নাম জমা পড়েছে আদালতে৷ দুর্নীতি প্রমাণ হতেই একাধিক জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এতে স্পষ্ট দুর্নীতি হয়েছে৷ মামলাকারীদের হয়ে নিয়মিত লড়াই করা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরদৌস শামিমের মতো বাম মনোভাবাপন্ন দুঁদে রাজনীতিবীদরা লড়াই করছেন এজলাসে৷ এটাই বামেদের কাছে মোক্ষম সুযোগ ফিরে আসার।

বাম নেতাদের বক্তব্য, ভোটের রাজনীতি থেকে দূরে সরে আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে রাজপথে নামছেন তাঁরা৷ আলিমুদ্দিনের এই মৌলিক উদ্দেশ্যের মাঝেও ভোটের অঙ্ক বাইরে রাখা যাচ্ছে না৷ শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা ধীরে ধীরে ভোটের অঙ্ক মেলাচ্ছেন৷ এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল৷ সেটার হাতেনাতে প্রমাণ মিলেছে রাজ্যের একাধিক নির্বাচনে। বিরোধী বেঞ্চে থাকা গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে তাঁরা৷

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখেই আগামী দিনে প্রচারে নামতে চায় বামেরা৷ এতে জনমত যেমনভাবে আদায় করা সোজা। তেমনই রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া নেতাদের ফের মুলস্রোতের রাজনীতিতে ফিরিয়ে৷ জেলায় জেলায় এই আন্দোলন আগামী দিনে বামেদের সাহায্য করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷