Presidential Election: ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন, দলত্যাগীদের বার্তা দিলেন দিলীপ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) নিয়ে রাজ্যে চলছে তুমুল তোরজোড়। এরই মধ্যে ভিডিও বার্তায় বোমা ফাটালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমর্থনের…

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) নিয়ে রাজ্যে চলছে তুমুল তোরজোড়। এরই মধ্যে ভিডিও বার্তায় বোমা ফাটালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমর্থনের জন্য আবেদন জানালেন। ভোট আবেদন জানালেন তৃণমূল বিধায়কদের। সেইসঙ্গে ‘প্রায়শ্চিত্ত করার একটা সুযোগ’ বলে কটাক্ষ করলেন দলত্যাগী বিধায়কদের।

গত রাতে একটি ভিডিও বার্তায় দিলীপ ঘোষ বলেন, এবারের নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে। যারা এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাঁরা ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন। দ্রৌপদী মুর্মুকে যারা ভোট দেবেন তারা পরবর্তীকালে বলতে পারবেন, এই ঐতিহাসিক নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁকে একটা ভোট দিয়েছিলাম। দেশের সমস্ত দলের বিধায়কদের খোলা মনে স্বাগত জানাচ্ছি। আসুন ভোট দিন৷

সেইসঙ্গে বাংলার বিধায়কদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের বার্তা, পশ্চিমবঙ্গের যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাঁদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি৷ বিশেষ করে তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদদের৷ যাদের জন্য রাস্তা খুলে গেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কোনও দল হুইপ দিতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী আগেই সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন । আমি আহ্বান করছি যাতে নির্বাচনের পর যাতে বলতে পারেন আমিও রাষ্ট্রপতি পদে যিনি নির্বাচন হয়েছেন, তাঁকে ভোট দিয়েছি।

পাশাপাশি দলত্যাগী বিধায়কদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের বার্তা, যারা আমাদের দলে নির্বাচিত হয়ে পরে অন্য দলে চলে গেছেন৷ মানুষ তাঁদেরকে ভোট দিয়েছিল, এই ঐতিহাসিক মুর্হুতের সাক্ষী হওয়ার জন্য। আপনি আপনার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন। আপনি আসুন দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়ে এই ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী হোন৷

উল্লেখ্য, ভোট নিয়ে সকাল থেকেই দুই শিবিরের মধ্যে চরম ব্যস্ততা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন ৬৯ জন বিধায়কদের নিউটাউনের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেই হোটেল থেকে ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে বিধানসভায় আনা হয়েছে। জয় নিশ্চিত জেনেই একটি মাত্র ভোট হারালেই কেন্দ্রের নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে৷ তাই সেই ভুল করতে চান না রাজ্য নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন কাঁথির শান্তিকুঞ্জের দুই সদস্য শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। খাতায় কলমে তাঁরা এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তাই বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই ভোট দেবেন দিব্যেন্দু। একথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

তবে শেষ মুহুর্তেও কোনও ভুল করতে নারাজ তৃণমূল। তাই গতকালই সমস্ত বিধায়কদের কলকাতায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব বর্তেছিল দলের শীর্ষ নেতাদের ওপরেই। তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা৷ কোনও ভুল করতে চাইছে না মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। সব মিলিয়ে রাইসিনা হিলের নির্বাচন ঘিরে চড়েছে বঙ্গ রাজনীতির তাপমাত্রাও।