Pakistan: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের অনাস্থা ভোট নাকি সেনা শাসন, পাকিস্তান সরগরম

পাকিস্তান (Pakistan) পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা আটকে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি…

people of Pakistan

পাকিস্তান (Pakistan) পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা আটকে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি চলছে তার রায়ের ওপরই নির্ভর করছে ইমরান খানের ভবিষ্যৎ।

বিবিসির খবর, পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত এখন যে কোনও দিকে যেতে পারে। যদি সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয় যে, পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তটি অসাংবিধানিক ছিল, তখন আদালত আবার এই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট গ্রহণ করতে বলতে পারে।

যদি আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে স্পিকারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এবং পার্লামেন্টের বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না, তারপরও ইমরান খানকে ফের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। এই সরকার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবে। সেই নির্বাচনে যে ইমরান খান বিজয়ী হবেন, তার নিশ্চয়তা নেই।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবটি আনে বিরোধী দলগুলো। রবিবার এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইমরান খানের নিজের দল এই প্রস্তাব আটকে দেয়। বিরোধী দলগুলো প্রিম কোর্টে গিয়ে আবেদন জানান, যেভাবে অনাস্থা প্রস্তাব পার্লামেন্টে আটকে দেয়া হয়, তা ছিল বেআইনি, অসাংবিধানিক।

ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি দুর্নীতির মোকাবিলা করা এবং অর্থনীতি ঠিক করার কথা বলে প্রচার চালিয়েছিলেন। তবে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় এবং বিদেশি দেনার বোঝা আকাশচুম্বী হওয়ার প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দেয়, তার কারণে ইমরান খানের সমর্থন অবশ্য ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। পাকিস্তানের অত্যন্ত ক্ষমতাধর সেনা বাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছে এবং এটাও তার বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা।