অনুব্রত ‘বেলুন নেতা’: সুকান্ত

তৃণমূলের এক নেতা আছে। তাঁকে আমি বেলুন নেতা বলি। বেলুন নেতা মানে বোঝেন তো? ফুলেফেঁপে থাকে। কথায় কথায় চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা এসব বলে ডায়লগ…

তৃণমূলের এক নেতা আছে। তাঁকে আমি বেলুন নেতা বলি। বেলুন নেতা মানে বোঝেন তো? ফুলেফেঁপে থাকে। কথায় কথায় চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা এসব বলে ডায়লগ দেয়। কিন্তু একবার সিবিআই ডেকেছে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছে। তাঁর বডিগার্ড দেড়শো কোটি টাকার মালিক। বডিগার্ডের যদি এই চেহারা হয় তাহলে যে বডিকে গার্ড দিচ্ছে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত হবে? ফের বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কয়লা ও গরুপাচারকাণ্ডে এবার ইডির নজরে অনুব্রত মণ্ডল। নজরে রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সূত্রের খবর, ইডির সদর দফতর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সেখানে জানানো হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং সায়গাল হোসেনকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী কী তথ্য সিবিআই আধিকারিকরা হাতে পেয়েছেন? সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান। সমস্ত তথ্য ও বয়ান খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সিবিআইয়ের তরফে। এমনটাই সূত্রে খবর।

সম্প্রতি গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে ৯ জুন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর তদন্ত এগোতেই সায়গলকে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।

সূত্রের খবর, ১৪ জনের একটি স্পেশাল টিম কাজ করত সায়গালের হয়ে। ১৪ জনের স্পেশাল টিম নিয়ে তোলা তুলত সায়গল। তাঁর নামে এবং বেনামে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ কোটির বেশী।

এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। সেখানে উঠে আসে ১০০ দিনের প্রসঙ্গ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, ১০০ দিনের টাকা হাতিয়ে বড় বড় বাড়ি করেছেন তৃণমূল নেতারা। দিল্লি থেকে ইনকোয়ারি টিম পাঠানো হবে তদন্তে।

সেইসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, ওরা ভেবেছিল চুরি করে বেঁচে যাবে। ধরা পড়েছে সিবিআইয়ের হাতে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে নয়। পুলিশকে ৫-১০ টাকা দিলে মিটে যেত। কিন্তু সিবিআইকে ৫-১০ টাকা দিলে মিটবে না। সিবিআইয়ের হাতে ধরা দিলে বাঁচার উপায় নেই। তৃণমূলে এত চোর যে পুলিশ কম পড়ে যাচ্ছে।