Pakistan: পাক-ই-স্তান কুর্সির ম্যাচে মিয়াদাঁদের মতো শেষ বলে ছয় মারবেন ইমরান!

কেউ বলছে স্ত্রী বুশরা-কে দিয়ে কালা জাদু চালিয়েছেন ইমরান খান (Imran khan)। তা না হলে আস্থা ভোটের সময় সেনা প্রধান কী করে এসে পাক প্রধানমন্ত্রীর…

pakistan political crisis pm Imran khan trying to close relation with army

কেউ বলছে স্ত্রী বুশরা-কে দিয়ে কালা জাদু চালিয়েছেন ইমরান খান (Imran khan)। তা না হলে আস্থা ভোটের সময় সেনা প্রধান কী করে এসে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ! খোদ খানের দল তেহরিক ই ইলসাফ দাবি করেছিল, সেনাবাহিনীর মদতে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর পরেও জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৈঠক হলো। পাক প্রধানমন্ত্রী বললেন তিনি পদত্যাগ করছেন না।

জোট শরিকদের পক্ষ ত্যাগের কারণে পাক জাতীয় আইনসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছেন ইমরান খান।  বিরোধী পিএমএল-এন ও পিপিপি দলের এনেছে অনাস্থা। পাকিস্তান জন্মের পর বারবার সেনা শাসন, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ইমরান খান সেই ধারার উত্তরসুরী হবেন নাকি তিনি নজির ভাঙবেন তাও আলোচনার কেন্দ্রে।

মূলত পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে। সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ পাক সংবিধানের ৫৪ ধারায় বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা অনাস্থা ভোটের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সেক্রেটারিয়েটে প্রস্তাব জমা দেয়। এর পর শুরু হয় সরকারে থাকা দল তেহরিক ই ইনসাফের জোট ত্যাগ।

সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে প্রধান বিরোধী দল পিএমএল-এন সহ ১১টি দল মিলে পিডিএম নামে জোট গঠন করেছে। সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে গড়ে উঠা বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট(পিডিএম) এখন ইমরান খানের কুর্সি কাড়তে মরিয়া।

পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে জিততে কমপক্ষে ১৭২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। সরকারের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৪-তে। জোটসঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার সময় ইমরান খানের হাতে সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন।

পরিস্থিতি অনুকুল নয়। ইমরান খান সরকার বাঁচাতে পারবেন না দাবি করেছেন পিএমএলএন নেত্রী মারিয়ম নাওয়াজ। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী না়ওয়াজ শরিফের কন্যা।

এদিকে সেনা প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে পাক রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য। ইমরান খান আগেই বলেছেন, তিনি শেষ বল পর্যন্ত খেলবেন। পাকিস্তান জুড়ে প্রশ্ন, সেই ১৯৮৬ সালের শারজা স্টেডিয়ামে জাভেদ মিয়াঁদাদ যেমন ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে চমকে দেওয়া জয় এনেছিলেন, তেমনই কিছু করতে চান ইমরান খান। সেনা বাহিনীকে কাছে টানতে মরিয়া তিনি।