Pakistan: ক্ষমতার কয়েকটি ঘন্টা বাকি, ইমরানের নির্দেশে পাকিস্তানে বিক্ষোভ শুরু

অনৈতিক ও কলঙ্কজনক পদ্ধতিতে সরকার ফেলে দিতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের শরিক বিরোধীরা। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব। জনগণকে বলছি আপনারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণবিক্ষোভে সামিল হন। পাকিস্তানের (Pakistan)…

অনৈতিক ও কলঙ্কজনক পদ্ধতিতে সরকার ফেলে দিতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের শরিক বিরোধীরা। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব। জনগণকে বলছি আপনারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণবিক্ষোভে সামিল হন। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই আহ্বানে রবিবার সকাল থেকেই দেশটির সর্বত্র শুরু হয়েছে ধর্না ও বিক্ষোভ।ক্ষমতাসীন দল তেহরিক ই ইনসাফ সমর্থকরা মূলত বিক্ষোভে সামিল।

ইসলামাবাদে পাকিস্তান সংসদের গুরুগম্ভীর আলোচনার পর বিরোধী জোটের ডাকা অনাস্থা ভোট হবে। পরিস্থিতি বলছে পাকিস্তানের ক্ষমতা থেকে সরতে চলেছেন ইমরান খান। তাঁর জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অনাস্থার ভোটের ফলাফলে সরকারি শিলমোহর পড়বে।

   

বিরোধী জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন পিএমএলএন নেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে সেই প্রাদেশিক আইনসভায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।

রয়টার্স জানাচ্ছে, অনাস্থা ভোটের ফলাফল মেনে নেওয়ার প্রশ্নে ইমরান বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটিই যেখানে কলঙ্কিত সেখানে আমি কীভাবে ওই ফল মেনে নেব? আমাকে উৎখাত করার এই ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ইমরান শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের আহ্বান জানান। এই ঘোষণার পরই রাস্তায় চলে আসেন তেহরিক ই ইনসাফের সমর্থকরা।

বিবিসি বলছে, গত মাসে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফেপ ২০ জন সাংসদ পদত্যাগ করলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত ২৮ মার্চ বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

বিরোধীদলগুলোর ‍অভিযোগ, ইমরান করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা পূর্ণ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন, ওই প্রতিশ্রুতি পূরণেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর বিদেশনীতিতে পাকিস্তানের ক্ষতি হচ্ছে।